ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার একাধিক মামলার আলোচিত আসামি এরশাদ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
.আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ সোমবার রাতে পাকুড়িয়া ভাঙা সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।এরশাদ শেখ উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের মোহন শেখের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে এরশাদ শেখকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের মাধ্যেমে ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এরশাদের বিরুদ্ধে বেআইনি দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া প্রদর্শন, হত্যার করার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম, এলাকায় ত্রাস সৃস্টি, ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটতরাজ,ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানান অপরাধে একাধিক মামলার পলাতক আসামিএরশাদ শেখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই সকালে পাকুড়িয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তারকৃত আসামি এরশাদ শেখসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর আক্রমণ করে ফুল মিয়াসহ চার জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ ঘটনায় ফুল মিয়ার আপন বড় ভাই শাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে ১ আগস্ট এরশাদ শেখসহ ২৭জন ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নামে মামলা করেন।এরশাদ শেখ ওই মামলার দুই নম্বর আসামি।
এর আগে ১৪ জুলাই একটি হামলার ঘটনায় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন বাদী হয়ে এরশাদ শেখকে প্রধান আসামি করে ১৮ জন ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন জানান, এরশাদ শেখ পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন নৈশ প্রহরী, সে স্কুলের কাজ ফাঁকি দিয়ে এলাকায় নানান অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। তার নেতৃত্বে হামলায় এ প্রর্যন্ত বৃদ্ধ ফুল মিয়া, যুবক সম্রাট দুই নারীসহ একাধিক মানুষ আজ পঙ্গুত্ববরণ করেছে। এরশাদের রয়েছে এলাকায় ডিসের ব্যবসা যাহার কারণে এলাকায় নানান অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। এ নিয়ে অনেক বার এলাকায় অনেক বিচার হয়েছে।
আমি নিজে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি ও ফরিদপুর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।আমি তার ভয়ে এলাকায় যেতে পারি না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সন্ত্রাসী এরশাদের সুষ্ট বিচার দাবি করছি সরকারের কাছে।
আরও পড়ুনঃ রাজনগরে বৃক্ষরােপণ ও গাছের চারা বিতরণ করছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
ওসি মো.ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এরশাদ শেখ একাধিক মামলার পলাতক আসামি, সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবারে তাকে ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রিন্ট