ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জায়গা পরিদর্শন করলেন ফরিদপুরের ডিসি Logo পাংশায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির ভাতাভোগীদের এসবিসিসি প্রশিক্ষণ শুরু Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, আহত মা Logo তানোরে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশনের পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় হুমায়রা তৃতীয় Logo তানোর পৌরসভা দাখিল মাদরাসা সভাপতি মালেককে সংবর্ধনা Logo তিল চাষে আগ্রহ হারিয়েছে আত্রাইয়ের কৃষকরা Logo রাস-আল-খাইমাহ চেম্বার এর চেয়ারম্যান মোঃ আলী আল নুয়াইমির সঙ্গে কনসাল জেনারেলের সাক্ষাৎ Logo নলছিটিতে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতির নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজ হোসেনের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথার আলোচিত ব্যবসায়ী মজিবর হত্যা মামলার রায় আগামী ১৫ সেপ্টম্বর

অবশেষে টানা ১১ বছর পর ফরিদপরের সালথা উপজেলার আলোচিত ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষনার দিন ধার্য করা হয়েছে।

আগামী ১৫ সেপ্টম্বর ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় ঘোষনা করবেন। ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মিয়া উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দী গ্রামের মৃত ফকরদ্দীন মিয়া ছেলে ও দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ঢাকা টাইমসের সালথা-নগরকান্দা প্রতিনিধি নুরুল ইসলামের বাবা।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন বুকুল মিয়া বলেন, আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষনার জন্য আগামী ১৫ সেপ্টম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তিনি বলেন, এ মামলার সাতজন আসামীর মধ্যে প্রধান আসামী হিমেল খান পলাতক রয়েছে। বাকি আসামীদের সামনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। আমরা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবি আসামীদের খালাস চেয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, মামলার ২২ জন স্বাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন। সাক্ষীরা মামলার সত্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বিধায় আশা করি আলোচিত এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির রায় পাবো।

মামলার বাদী সাংবাদিক নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবার খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। কেউ যেন খালাস না পায়। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক। যাতে আর কেউ আমার বাবার মত হত্যার শিকার না হন। কেউ যাতে কাউকে হত্যা করার সাহস না পায়।

উল্লখ্য, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগে মামলা প্রধান আসামী হিমেল খান ব্যবসায়ী মজিবর মিয়ার ছেলে রেজাউল মিয়ার
মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তখন মজিবর মিয়া বাদী হয়ে হিমেলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার করার পর ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর গভীর রাতে মোটরসাইকেল ফেরত দেয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে আসামীরা।

আরও পড়ুনঃ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বেগবান করার প্রত্যয় পাংশায় শিল্পকলা একাডেমী পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

এ ঘটনায় মোট সাতজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মজিবর মিয়ার ছেলে সাংবাদিক নুরুল ইসলাম। আসামীরা হলেন, হিমেল খান, আলমগীর খান, জুয়েল খান, সোহেল খান, সাকিল খান, আজগর খান ও ইলিয়াস মোল্যা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জায়গা পরিদর্শন করলেন ফরিদপুরের ডিসি

error: Content is protected !!

সালথার আলোচিত ব্যবসায়ী মজিবর হত্যা মামলার রায় আগামী ১৫ সেপ্টম্বর

আপডেট টাইম : ১২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
এফ.ম আজিজুর রহমান :

অবশেষে টানা ১১ বছর পর ফরিদপরের সালথা উপজেলার আলোচিত ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষনার দিন ধার্য করা হয়েছে।

আগামী ১৫ সেপ্টম্বর ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় ঘোষনা করবেন। ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মিয়া উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দী গ্রামের মৃত ফকরদ্দীন মিয়া ছেলে ও দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ঢাকা টাইমসের সালথা-নগরকান্দা প্রতিনিধি নুরুল ইসলামের বাবা।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন বুকুল মিয়া বলেন, আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষনার জন্য আগামী ১৫ সেপ্টম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তিনি বলেন, এ মামলার সাতজন আসামীর মধ্যে প্রধান আসামী হিমেল খান পলাতক রয়েছে। বাকি আসামীদের সামনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। আমরা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবি আসামীদের খালাস চেয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, মামলার ২২ জন স্বাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন। সাক্ষীরা মামলার সত্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বিধায় আশা করি আলোচিত এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির রায় পাবো।

মামলার বাদী সাংবাদিক নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবার খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। কেউ যেন খালাস না পায়। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক। যাতে আর কেউ আমার বাবার মত হত্যার শিকার না হন। কেউ যাতে কাউকে হত্যা করার সাহস না পায়।

উল্লখ্য, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগে মামলা প্রধান আসামী হিমেল খান ব্যবসায়ী মজিবর মিয়ার ছেলে রেজাউল মিয়ার
মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তখন মজিবর মিয়া বাদী হয়ে হিমেলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার করার পর ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর গভীর রাতে মোটরসাইকেল ফেরত দেয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে আসামীরা।

আরও পড়ুনঃ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বেগবান করার প্রত্যয় পাংশায় শিল্পকলা একাডেমী পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

এ ঘটনায় মোট সাতজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মজিবর মিয়ার ছেলে সাংবাদিক নুরুল ইসলাম। আসামীরা হলেন, হিমেল খান, আলমগীর খান, জুয়েল খান, সোহেল খান, সাকিল খান, আজগর খান ও ইলিয়াস মোল্যা।


প্রিন্ট