ভেড়ামারায় চাল, ডাল, তেল, শাকসবজি,মাছ মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি।
তাছাড়া জীবন রক্ষাকারী ঔষধের দামও বেড়েছে অনেক। আর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে যাতায়য়ত ভাড়াও বেড়েছে। ফলে মনুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে এখন বহুগুনে।এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
নিত্যপণ্যের দাম দিনের পর দিন লাগামহীনভাবে বৃদ্ধিসহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধির ফলে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর সংসার চালানো দায় হয়ে যাচ্ছে। আয় না বাড়লে ও একের পর এক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এসব পরিবারে এখন নীরব হাহাকার চলছে।
জেলার ভেড়ামারা উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদরের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। দিনমজুর শ্রেণির মানুষ তাঁদের দৈনিক আয়ের টাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে কি রেখে কি কিনবেন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাজার মনিটরিং না থাকায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, ভেড়ামারা উপজেলা কলেজ বাজার,পৌর বাজার মনিটরিং ও দোকানে পণ্যের মূল্যতালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীরা প্রতিটি পণ্যের দামই বাড়িয়েছে। একই পণ্য বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিভিন্ন দামে বিক্রি করছে। সারা দেশেই নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও এই বাজারে সব পণ্যের দামই বেড়েছে।
উপজেলার কলেজ বাজারের ক্রেতা ফারাকপুর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক সে মোটর শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা তার মজুরি। সংসারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই সন্তান। ছেলে-মেয়ে বিশ্ব বিদ্যালয় পড়াশোনা করে।
দিনমজুর রাজ্জাক বলেন, এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে গেলাম। ৬০টাকা দাম মরিচের। ২ কেজি চাল নিলাম ১২০ টাহায়। ১০০ টাহার আধা লিটার সয়াবিন তেল। ২ কেজি আলু ৫০ টাকা, আধা কেজি বেগুন ৩৫ টাকা। ৩৫ টাহার মুলাশাক আর এক কেজি লবণ কিনলাম ৩৫ টাহায়। আমার কাছে টাকা শেষ। এখন মাছ-গোশত খাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি। ছেলে সন্তান নিয়া এখন খুব কষ্টেই দিন যাচ্ছি।
রাজ্জাকের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে এসে কি রেখে কি কিনবেন তা নিয়েই হতাশায়। দেশে জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও দিনমজুর ও কৃষকদের আয় বাড়েনি, বেড়েছে ব্যয়।
ভেড়ামারা বাজারের ব্যবসায়ী বজলুল হক বলেন, প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়েছে, দোকানদারেরা কখনো দাম বাড়ায় না। সরকার থেকে দাম বাড়লে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। সবকিছুর দাম এখন অনেকটাই বেড়ে গেছে, যেমন বয়লার মুরগি ১৯০ টাকা কেজি হয়েছে। কিছু করার নাই, বাঁচতে হলে কিনতেই হবে।
আরও পড়ুনঃ সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
বাজারের বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীনেশ সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কোনো ব্যবসায়ী যদি নির্দিষ্ট দাম থেকে বেশি রাখে এবং দোকানে মূল্যতালিকা যদি না থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট