ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএমডিএর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন Logo কুষ্টিয়ার সীমান্তে বিজিবি–বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo যশোরের মণিরামপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের সভাপতি হলেন লিটন মোড়ল Logo নাটোরের নলডাঙ্গায় পার্টনার কংগ্রেস সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo নরসিংদীতে কালী কুমার ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ Logo লোহারটেক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল আলিম আর নেই Logo লালপুরে স্কুলে টিফিনের ফাঁকে গাঁজা বিক্রিকালে মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo তানোরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা Logo কালাইয়ে অটোভ্যানের সোকাব ভেঙ্গে চালক নিহত Logo টেকনোলজির উন্নয়ন ও সামাজিক অবক্ষয়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে আ’লীগ নেতাকে মারধর করলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

শোক দিবসের দাওয়াত না পেয়ে আওয়ামী নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টারের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শোক দিবসে দাওয়াত না পেয়ে ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামকে মারধর করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার। পরে এঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।
এদিকে, হামলার শিকার হওয়া চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম জানান, শোক দিবসের আয়োজন সম্পন্ন করতে বেলা ১১টার দিকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার মঞ্চ তৈরিতে বাঁধা দেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলামকে কিল-ঘুসি দেন। তিনি (সভাপতি) দাবী করেন, অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতি না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করেছেন।
অপরদিকে, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, স্কুলের সভাপতি হিসেবে নিরাপত্তাজনিত কারণে স্কুলের সামনের মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু স্কুলের বাউন্ডারির ভিতরে মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করলে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়। বারবার বলা সত্ত্বেও নিষেধ না শোনায় ঘটে যাওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তবে, অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতি না করায় মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এদিকে, এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ জলিল জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। ওসি জানায়, তবে এব্যাপারে এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বিএমডিএর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে আ’লীগ নেতাকে মারধর করলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২
মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ :
শোক দিবসের দাওয়াত না পেয়ে আওয়ামী নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টারের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শোক দিবসে দাওয়াত না পেয়ে ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামকে মারধর করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার। পরে এঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।
এদিকে, হামলার শিকার হওয়া চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম জানান, শোক দিবসের আয়োজন সম্পন্ন করতে বেলা ১১টার দিকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার মঞ্চ তৈরিতে বাঁধা দেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলামকে কিল-ঘুসি দেন। তিনি (সভাপতি) দাবী করেন, অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতি না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করেছেন।
অপরদিকে, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, স্কুলের সভাপতি হিসেবে নিরাপত্তাজনিত কারণে স্কুলের সামনের মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু স্কুলের বাউন্ডারির ভিতরে মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করলে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়। বারবার বলা সত্ত্বেও নিষেধ না শোনায় ঘটে যাওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তবে, অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতি না করায় মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এদিকে, এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিকদের সর্বাত্মক  সহযোগিতা চাইলেন নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ জলিল জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। ওসি জানায়, তবে এব্যাপারে এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।

প্রিন্ট