মাগুরা সদর উপজেলার কুল্লিয়া গ্রামে অবস্থিত কুল্লিয়া কুচিয়ামোড়া সৈয়দ আতর আলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নাজমুল হোসেন (৪৫) এর বিরুদ্ধে ছাত্রীর মাকে উত্তাক্ত, বিয়ের প্রস্তাব, প্রেম, এসিড নিক্ষেপের হুমকি ও ইভটিজিং এর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট দুপুর ১২ টার সময় হরিশপুর গ্রামের উক্ত ছাত্রীর মা সোনালী আক্তার সাথী (৩৭) বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরে দুই মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি বাঁকা হরিশপুর গ্রামে চলে আসায় ছোট মেয়ে সুস্মিতা আক্তার আলভিকে স্থানীয় কুল্লিয়া স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেই, কিছুদিন পরে কুল্লিয়া স্কুলের কেরানি নাজমুল কৌশলে আমার মেয়ের কাছ থেকে অভিভাবক হিসেবে আমার নাম্বার সংগ্রহ করে। প্রথম অবস্থায় সে ফোন দিয়ে আমার মেয়ের খোঁজ খবর নিতো কিন্তু কিছুদিন পরে সে আমাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে, এক পর্যায়ে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে সংঘর্ষঃ ইমামসহ আহত ৫
এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনদের ভাষ্য মতে জানা যায়, নাজমুল বিবাহিত, তার স্ত্রী পার্শ্ববর্তী নতুনগ্রাম প্রাইমারি স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষিকা, তার দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে ও এক মেয়ে অনার্স পড়ে। অভিযোগকারী সোনালী আক্তার সাথী জানান, বখাটে নাজমুলের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে ও আমার মেয়েকে এসিড ছুড়ে মুখ ঝলসে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে এবং মেয়েকে কোনো ভাবেই পরীক্ষা দিতে দেবে না এবং পরীক্ষায় পাশও করতে দেবে না। এমনকি আমাকে না পেলে সে আত্মহত্যা করবে বলে ব্ল্যাকমেইল করে। বর্তমানে সাথী আক্তার মেয়ে নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছেন। এরই মাঝে নাজমুল সারা গ্রামে ছড়িয়ে দিয়েছে সাথির সাথে তার ইতিমধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে, যার ফলে সাথির স্কুল পড়ুয়া মেয়ে লজ্জায় বান্ধবীদের কাছে মুখ দেখতে পারছে না। যার ফলে স্কুলে যাওয়া একরকম বন্ধ করে দিয়েছে মেয়ে আলভি। সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বখাটে নাজমুলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সাথী আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নাজমুল কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রীর মা সোনালীর সাথে আমার মুঠোফোনে কথা হয়েছে তবে আমি চাই সে অন্য জায়গায় বিয়ে করে সুখী হোক।
আর তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ দায়ের করার বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে, জিডি নম্বর ১১২২, এব্যাপারে মাগুরা সদর থানার ওসি নাসির হোসেন জানান, ব্যাপারটি আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছি, তদন্তের কাজ চলছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট