মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের কাজীরআইল গ্রামে পিকনিকে সাউন্ড বক্স বাজানো কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সরাসরি সংঘর্ষে ৫ জন গুরুতর জখম সহ আনুমানিক ১০টি বাড়ি ভাংচুরের করা হয়েছে।
শুক্রবার ১৫ জুলাই দুপুর বেলায় আহত কাজীরআইল মসজিদের ইমাম সিদ্দিক মোল্লা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ১৪ জুলাই রাত আনুমানিক ৯ টার সময় এশার নামাজের পর শরিফুলের চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। এমতাবস্থায় আমার উপর সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিত শত্রুতার জের ধরে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এলোপাতাড়ি ধারালো রামদা, শরকি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা সিদ্দিক মোল্লা(৭০) মাথায়, হাতে ও পায়ে, রাজু মোল্লা(২০), ডান পায়ে আটটি সেলাই, রিকু বিশ্বাসের বাম হাতের আঙ্গুল কর্তন, কাশেম মোল্লা(২৬), হাতে ও পায়ে আঘাত, লাল চান বিশ্বাস (২৬),বাম হাত ভাঙা এবং পেটে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের কর্মরত ডাঃ বলেন, এদের মধ্যে ইমাম সিদ্দিক মোল্লা মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত। তবে এ ঘটনায় কাজীরআইল গ্রামের আনুমানিক ১০টি বাড়ি ভাংচুর করে কিছুটা লুটপাট করা হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন সাংবাদিক দের কাছে। উক্ত ঘটনা টি কেন্দ্র করে সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে মাগুরা সদর থানায় মামলা রুজু করেছেন।
মামলার অভিযোগ পএে দেখা গেছে, এগারো জনের অধিক কে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, তোতা বিশ্বাস (৪২), সাদুল্লা বিশ্বাস ওরফে সাদো (৩৫), রিয়াজুল ইসলাম (৪০), আশরাফুল ইসলাম(৩৮), মাজেদুল বিশ্বাস (৩৮), মুজিবুর মন্ডল (৫০),রবিউল ইসলাম (৪৪), তামজেল মোল্লা, রিপন, নজরুল ইসলাম, লিয়াকত, সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন আসামির বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এ সংঘর্ষে আসামি পক্ষের কাউকে নিজ বাড়িতে সরজমিন না পাওয়া গেলেও ভুক্তভোগী পরিবারের নারী সদস্যরা জানান তাদের অনেকের বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে, পুরুষ সদস্যরা বাড়ির বাহিরে আছেন এবং তারাও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিবেন। তারা আরো মনে করেন পূর্ব শত্রুতার সূত্রপাত নিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত মহিলা সদস্যরা বলেন, নজু ও রাজু সাউন্ড বক্স বাজানো কে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। আমাদের মধ্যে আহত একাধিক তার মধ্যে লিয়াকত মল্লিক, জিয়া, ও নবা আহত হয়েছেন।
তবে এ ঘটনায় মাগুরা জেলা পুলিশের এ্যাডিশোনাল পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনা টি জানা মাএ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজীরআইল গ্রামে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং একজন আসামি আটক করা হয়েছে, এলাকা শান্ত আছে।
প্রিন্ট