রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, প্রবীণ খ্যাতিমান আইনজীবী সৈয়দ রফিকুস সালেহীনের স্মরণে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় শুক্রবার ১২ আগস্ট পাংশা সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পারিবারিক আয়োজনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রয়াত এ্যাডভোকেট সৈয়দ রফিকুস সালেহীনের জ্যেষ্ঠ ভাই এসটি মাহমুদ ও পুত্র সৈয়দ তাশফিন সালেহীন পাপুন।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাংশা সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম ও পুঁইজোর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাঈদ আহমেদ।
পাংশা সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলী (বাবুল চৌধুরী), বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নূর-ই-আলম ইমরোজ, রফিকুল ইসলাম, শামসুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম খান পলাশ, জয়নুল আরেফিন কোহেন, সাংবাদিক ও কবি নেহাল আহমেদ, সৈয়দ রফিকুস সালেহীনের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও মসজিদের মুসল্লীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে এসটি মাহমুদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাংশা সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন জামে মসজিদের অদূরে পারিবারিক কবরস্থানে তার পিতামাতার কবর জিয়ারত করেন।
উল্লেখ্য, পাংশা শহরের নারায়নপুর গ্রামে সৈয়দ রফিকুস সালেহীনের জন্ম ও বেড়ে উঠা। কর্মজীবনে তিনি রাজবাড়ী শহরে বসবাস করতেন। চলতি বছরের ২৫ জুলাই সকাল ৯টার দিকে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দায় নিজ বাড়ীতে ৮৬ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিক কারণে ইন্তেকাল করেন তিনি। কর্ম ও রাজনৈতিক জীবনে তার সুনাম সর্বজনবিদিত।
এ্যাডভোকেট সৈয়দ রফিকুস সালেহীনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ, রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
প্রিন্ট