ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চাটমোহর পৌরসভা নির্বাচন

চাটমোহরে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়রের উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ

পাবনার চাটমোহর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলালের উপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মারপিট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের পুরাতন বাজার থানা মোড় আমতলায়। হামলায় পৌর মেয়র কিছুটা আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই পৌর শহরে উত্তেজনা ও আতংক বিরাজ করছে। পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার সকালে মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল তাঁর মধ্য শালিখাস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন,তাঁর জগ মার্কা প্রতীকের প্রচারণা শেষে থানা মোড় আমতলায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় ২০/২৫ জনের একটি দল নৌকার শ্লোগান দিতে দিতে এসে হামলা করে এলোপাথারী মারপিট করে। তারা নৌকার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন করছি এ বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। তিনি বলেন,এসময় আমার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। তিনি অভিযোগ করেন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে চাটমোহরের নির্বাচনী পরিবেশ অস্থিতিশীল করছে। আমার উপর নৌকার সমর্থক স্থানীয় ও বহিরাগতরা হামলা করেছে। তিনি আরো বলেন,এ ঘটনার পর পৌরসভার বালুচর এলাকায় আমার ছোট ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মির্জার উপরও হামলা করে দুর্বৃত্তরা।

দুলাল মির্জা বলেন,রাতেই বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,এএসপি সার্কেল ও থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

এবিষয়ে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো বলেন, আমি বিষয়টি সকালে শুনলাম। আমার ২০ বছরের সভাপতি থাকাকালে বা তার আগে কোন দিন কাউকে আঘাত করে নির্বাচন করিনি। দুলাল ভাই আক্রান্ত হয়েছে শুনেছি। যা দুঃখজনক। আমি কখনও এটা সাপোর্ট করিনা। কারণ আমিই তাকে আওয়ামী লীগে নিয়ে এসেছিলাম। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, দুলাল মির্জার ভাই জুয়েল মির্জা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে রাতে নির্বাচন উপলক্ষে খারাপ মানুষদের মাঝে মাদকদ্রব্য ও টাকা তুলে দিচ্ছে। এই মাদকসেবীদের দ্বারাই তারা আক্রান্ত হতে পারে। এই ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগ বা নৌকার কোন কর্মী-সমর্থক জড়িত নাই। এ অপপ্রচার। কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ।

এবিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম বলেছেন,এই ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের কেউই জড়িত নেই। তাছাড়া রাত ৮টায় যেখানে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ। সেখানে দুলাল মির্জা বা তার ভাই অতো রাতে কী করছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন দুলাল মির্জার লোকজন রাতে ও সকালে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ মালেকের মধ্য শালিখাস্থ বাসভবনে হামলা করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। হট্টগোল শুনে থানা থেকে পুলিশ বের হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। শুনেছি দুই পক্ষেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। শহরে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে দেওয়া হবেনা। তিনি জানান,বর্তমান মেয়র থানায় কোন অভিযোগও করেনি।

এদিকে বুধবার দুপুরের দিকে মেয়র দুলাল মির্জার নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা জগ প্রতীকের পক্ষে মিছিল ও গণসংযোগ শুরু করলে শহরের শাহী মসজিদ এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় এএসপি সজীব শাহরীন ও থানার ওসি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

চাটমোহর পৌরসভা নির্বাচন

চাটমোহরে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়রের উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার,পাবনা প্রতিনিধিঃ :

পাবনার চাটমোহর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলালের উপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মারপিট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের পুরাতন বাজার থানা মোড় আমতলায়। হামলায় পৌর মেয়র কিছুটা আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই পৌর শহরে উত্তেজনা ও আতংক বিরাজ করছে। পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার সকালে মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল তাঁর মধ্য শালিখাস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন,তাঁর জগ মার্কা প্রতীকের প্রচারণা শেষে থানা মোড় আমতলায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় ২০/২৫ জনের একটি দল নৌকার শ্লোগান দিতে দিতে এসে হামলা করে এলোপাথারী মারপিট করে। তারা নৌকার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন করছি এ বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। তিনি বলেন,এসময় আমার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। তিনি অভিযোগ করেন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে চাটমোহরের নির্বাচনী পরিবেশ অস্থিতিশীল করছে। আমার উপর নৌকার সমর্থক স্থানীয় ও বহিরাগতরা হামলা করেছে। তিনি আরো বলেন,এ ঘটনার পর পৌরসভার বালুচর এলাকায় আমার ছোট ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মির্জার উপরও হামলা করে দুর্বৃত্তরা।

দুলাল মির্জা বলেন,রাতেই বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,এএসপি সার্কেল ও থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

এবিষয়ে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো বলেন, আমি বিষয়টি সকালে শুনলাম। আমার ২০ বছরের সভাপতি থাকাকালে বা তার আগে কোন দিন কাউকে আঘাত করে নির্বাচন করিনি। দুলাল ভাই আক্রান্ত হয়েছে শুনেছি। যা দুঃখজনক। আমি কখনও এটা সাপোর্ট করিনা। কারণ আমিই তাকে আওয়ামী লীগে নিয়ে এসেছিলাম। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, দুলাল মির্জার ভাই জুয়েল মির্জা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে রাতে নির্বাচন উপলক্ষে খারাপ মানুষদের মাঝে মাদকদ্রব্য ও টাকা তুলে দিচ্ছে। এই মাদকসেবীদের দ্বারাই তারা আক্রান্ত হতে পারে। এই ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগ বা নৌকার কোন কর্মী-সমর্থক জড়িত নাই। এ অপপ্রচার। কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ।

এবিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম বলেছেন,এই ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের কেউই জড়িত নেই। তাছাড়া রাত ৮টায় যেখানে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ। সেখানে দুলাল মির্জা বা তার ভাই অতো রাতে কী করছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন দুলাল মির্জার লোকজন রাতে ও সকালে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ মালেকের মধ্য শালিখাস্থ বাসভবনে হামলা করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। হট্টগোল শুনে থানা থেকে পুলিশ বের হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। শুনেছি দুই পক্ষেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। শহরে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে দেওয়া হবেনা। তিনি জানান,বর্তমান মেয়র থানায় কোন অভিযোগও করেনি।

এদিকে বুধবার দুপুরের দিকে মেয়র দুলাল মির্জার নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা জগ প্রতীকের পক্ষে মিছিল ও গণসংযোগ শুরু করলে শহরের শাহী মসজিদ এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় এএসপি সজীব শাহরীন ও থানার ওসি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।


প্রিন্ট