ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরে নারী চিকিৎসককে হয়রানি করে কারাগারে যুবক Logo নাটোরের বাগাতিপাড়া বাউয়েট এর নতুন রেজিস্ট্রার শেখ সানি মোহাম্মদ তালহা Logo বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিক নিয়ে কার্গো জাহাজডুবি Logo দ্বীপ হাতিয়ায় সৈকতে ভেসে এসেছে বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’ Logo কালুখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেনের উঠান বৈঠক Logo গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo লালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়া প্রার্থী মোঃ শামীম আহম্মেদ সাগর Logo ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo বোয়ালমারীতে স্বস্তির বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জানাযার ছালাত আদায়ে ভূলসমূহ

‘জানাযা’-শব্দটির অর্থ হলো একজন মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করার পূর্ব মুহুর্ত১। আর মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে ইসলামের একমাত্র আয়োজন হলো জানাযার ছালাত । যা মাইয়েতের জন্য একমাত্র দো‘আর অনুষ্ঠান এবং যা ব্যতীত মুসলমানদের জন্য পৃথক কোন দো‘আর অনুষ্ঠান ইসলামী শরী‘আতে নেই। যা রাসূলুল্লাহ (ছা.) তাঁর মসজিদের বাইরের নিদিষ্ট স্থানে অধিকাংশ সময়ে পড়াতেন (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/২৮২)। তবে প্রয়োজনে মসজিদেও জানাযা পড়ানো জায়েয আছে। সুহায়েল বিন বায়যা (রা.) ও তার ভাইয়ের জানাযা রাসূল (ছা.) মসজিদের মধ্যে পড়েছেন (মুসলিম, মিশকাত, হাদীস নং.: ১৬৫৬)। হযরত আবুবকর ও ওমর (রা.)-এর জানাযা মসজিদের মধ্যে হয়েছিল (বায়হাক্বী ৪/৫২)২।

জানাযার ছালাত আদায়ের ফজিলত অফুরন্ত। রাসূলুল্লাহ (ছা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় কোন জানাযায় শরীক হ‘ল এবং দাফন শেষে ফিরে এলো, সে ব্যক্তি দুই ‘ক্বীরাত’ সমপরিমাণ নেকী পেল। প্রতি ‘ক্বীরাত’ ওহোদ পাহাড়ের সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি কেবলমাত্র জানাযা পড়ে ফিরে এলো, সে এক ‘ক্বীরাত’ পরিমাণ নেকী পেল (বুখারী, হাদীস নং. : ৪৭, মিশকাত, হাদীস নং. : ১৬৫১)৩। সুতরাং পরিচিত অপিরিচিত মৃতের জানাযার ছালাতে অংশগ্রহণ আমাদের জন্য অবশ্য পালনীয়। তবে এই জানাযার ছালাত আদায় করতে গিয়ে আমরা এমন কিছু করি যা পবিত্র কুরআন কারীম এবং সহীহ হাদীসে খুঁজে পাওয়া যায়না। এমন কিছু বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

১. উপস্থিত মুসল্লিদের নিকট মৃত ব্যক্তি ভালো ছিলেন মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়াঃ
এটা সম্মানিত ইমামগণ করে থাকেন যে, জানাযার ছালাতের পূর্বে মৃত ব্যক্তি কেমন ছিলেন বা ভালো ছিলেন মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়া। মূলত লাশকে সামনে রেখে নবী করীম (ছা.) এমনটি করেছেন এমন কোন প্রমান খুঁজে পাওয়া যায় না। ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (ছা.) বলেছেন, যে কোন মুসলমানের পক্ষে চারজন ভাল বলে সাক্ষ্য দিলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা বললাম তিন জন সাক্ষ্য দিলে? তখন নবী (ছা.) বললেন, তিন জন সাক্ষ্য দিলেও জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমরা বললাম দুইজন সাক্ষ্য দিলে? রাসূল (ছা.) বললেন, দুইজন সাক্ষ্য দিলেও জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ওমর (রা.) বলেন, আমরা একজনের সাক্ষীর কথা বলিনি (ছহীহ বুখারী, হাদীস নং. : ১৩৬৮, মিশকাত, হাদীস নং. : ১৬৬৩)।

মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভালো বলাটা আমাদের জন্য শ্রেয়। কিন্তু লাশকে সামনে রেখে জনগণের নিকট থেকে স্বীকারোক্তি নিতে হবে উপরি-উক্ত হাদীসুগলো দ্বারা একথা প্রমান করে না বিধায় একাজ থেকে বিরত থাকাই আমাদের জন্য শ্রেয়৪।

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্য এবং সঠিকটি জানার এবং তা আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন। (-চলবে)

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু

error: Content is protected !!

জানাযার ছালাত আদায়ে ভূলসমূহ

আপডেট টাইম : ০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

‘জানাযা’-শব্দটির অর্থ হলো একজন মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করার পূর্ব মুহুর্ত১। আর মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে ইসলামের একমাত্র আয়োজন হলো জানাযার ছালাত । যা মাইয়েতের জন্য একমাত্র দো‘আর অনুষ্ঠান এবং যা ব্যতীত মুসলমানদের জন্য পৃথক কোন দো‘আর অনুষ্ঠান ইসলামী শরী‘আতে নেই। যা রাসূলুল্লাহ (ছা.) তাঁর মসজিদের বাইরের নিদিষ্ট স্থানে অধিকাংশ সময়ে পড়াতেন (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/২৮২)। তবে প্রয়োজনে মসজিদেও জানাযা পড়ানো জায়েয আছে। সুহায়েল বিন বায়যা (রা.) ও তার ভাইয়ের জানাযা রাসূল (ছা.) মসজিদের মধ্যে পড়েছেন (মুসলিম, মিশকাত, হাদীস নং.: ১৬৫৬)। হযরত আবুবকর ও ওমর (রা.)-এর জানাযা মসজিদের মধ্যে হয়েছিল (বায়হাক্বী ৪/৫২)২।

জানাযার ছালাত আদায়ের ফজিলত অফুরন্ত। রাসূলুল্লাহ (ছা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় কোন জানাযায় শরীক হ‘ল এবং দাফন শেষে ফিরে এলো, সে ব্যক্তি দুই ‘ক্বীরাত’ সমপরিমাণ নেকী পেল। প্রতি ‘ক্বীরাত’ ওহোদ পাহাড়ের সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি কেবলমাত্র জানাযা পড়ে ফিরে এলো, সে এক ‘ক্বীরাত’ পরিমাণ নেকী পেল (বুখারী, হাদীস নং. : ৪৭, মিশকাত, হাদীস নং. : ১৬৫১)৩। সুতরাং পরিচিত অপিরিচিত মৃতের জানাযার ছালাতে অংশগ্রহণ আমাদের জন্য অবশ্য পালনীয়। তবে এই জানাযার ছালাত আদায় করতে গিয়ে আমরা এমন কিছু করি যা পবিত্র কুরআন কারীম এবং সহীহ হাদীসে খুঁজে পাওয়া যায়না। এমন কিছু বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

১. উপস্থিত মুসল্লিদের নিকট মৃত ব্যক্তি ভালো ছিলেন মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়াঃ
এটা সম্মানিত ইমামগণ করে থাকেন যে, জানাযার ছালাতের পূর্বে মৃত ব্যক্তি কেমন ছিলেন বা ভালো ছিলেন মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়া। মূলত লাশকে সামনে রেখে নবী করীম (ছা.) এমনটি করেছেন এমন কোন প্রমান খুঁজে পাওয়া যায় না। ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (ছা.) বলেছেন, যে কোন মুসলমানের পক্ষে চারজন ভাল বলে সাক্ষ্য দিলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা বললাম তিন জন সাক্ষ্য দিলে? তখন নবী (ছা.) বললেন, তিন জন সাক্ষ্য দিলেও জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমরা বললাম দুইজন সাক্ষ্য দিলে? রাসূল (ছা.) বললেন, দুইজন সাক্ষ্য দিলেও জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ওমর (রা.) বলেন, আমরা একজনের সাক্ষীর কথা বলিনি (ছহীহ বুখারী, হাদীস নং. : ১৩৬৮, মিশকাত, হাদীস নং. : ১৬৬৩)।

মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভালো বলাটা আমাদের জন্য শ্রেয়। কিন্তু লাশকে সামনে রেখে জনগণের নিকট থেকে স্বীকারোক্তি নিতে হবে উপরি-উক্ত হাদীসুগলো দ্বারা একথা প্রমান করে না বিধায় একাজ থেকে বিরত থাকাই আমাদের জন্য শ্রেয়৪।

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্য এবং সঠিকটি জানার এবং তা আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন। (-চলবে)