মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় আদালতের আদেশে কারাগারে প্রেরিত ফরিদপুরের সালথার মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর নামের সেই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সালথা থানায় এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানায়, শুক্রবার (১৫ জুলাই) উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদকে প্রধান আসামী করে হামলা-সংঘর্ষ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরকে প্রধান আসামী করে মোট ৪০ জনের নামে মামলাটি দায়ের করা হয়। অপরদিকে, শনিবার (১৬ জুলাই) উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে অপর আরেকটি সংঘর্ষের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এসব মামলায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলার মামলায় কারাগারে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যানকে পুনরায় গ্রেফতার দেখাতে কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এর আগে, গত রোববার (৯ জুলাই) দিবাগত রাতে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনায় উক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জয়গুন বেগম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সে মামলায় গত বুধবার (১৩ জুলাই) ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬ নং আমলি আদালতে আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে উক্ত আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ১০ জন আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সালথা থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরকে প্রধান আসামী করে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হলো।
আরও পড়ুনঃ সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর সহ দশজন কারাগারে
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্ল্যার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে বলে অভিযোগ উঠে। এ সময় তিনি দৌঁড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ ছাড়া এলেম শেখ ও তার স্ত্রী জয়গুন বেগমকে মারপিট করে এবং এতে তারা আহত হন বলে অভিযোগ ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে ৯ জুলাই জয়গুন বেগম সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করে সালথা থানায় মামলা করেন। সে মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান এখন কারাগারে রয়েছেন।
প্রিন্ট