কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষকদের সামনেই নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন প্রেমিক চঞ্চল হোসেন। তিনি বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনাটি ঘটে কুমারখালী উপজেলার দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে।
প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি আসার আগেই ৩০জুন বৃহস্পতিবার সকালে বহিরাগত ঐ যুবক বিদ্যালয়ে ঢুকে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। ঐ ছাত্রী বিষয়টি সহকারী শিক্ষক বশির উদ্দিনকে জানালে তিনি ঐ যুবককে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে নিয়ে অভিভাবকদের খবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিছু সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সামনে সে কোমর থেকে ছুরি বের করে পর পর দুইবার নিজের পেটে আঘাত করে।
ঐ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তাৎক্ষণিক আহত যুবককে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ওই যুবক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা বর্তমান আশংকাজনক। আহত যুবক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের পান্না শেখের ছেলে।
এ বিষয়ে আহত চঞ্চল হোসেন ও ছাত্রীর পরিবারের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম জানান, দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন যুবক এসে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আহত যুবককে তার অভিভাবকদের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কুমারখালীর হাটে নজর কাড়ছে তুফান, টাইগার, বাহাদুর ও মানিক
আজ শুক্রবার সকালে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান লিখিত আকারে এপর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে যতোটুকো শুনেছি ছেলেটি প্রেম করতে এসেছিল। প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহত ঐ যুবকের অবস্থা বর্তমান আশংকাজনক।
প্রিন্ট