ফরিদপুর বোয়ালমারীতে বিত্রডিসির খাল খনন না হওয়ায়,৫ গ্রামের ১ হাজার একর ফসল নষ্ট হয়ে পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ৫ থেকে ৬ হাজার কৃষক পরিবার।
আজ রবিবার সরেজমিন জেলার একাধিক গনমমাধ্যম কর্মী এবং মানবাধিকার নেতারা উক্ত এলাকায় গিয়ে কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়ার ভয়াবহ চিত্র দেখতে পান।
এ সময় এলাকাবাসী বলেন সাতৈর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বামনগারিয়ায় মাঠের ১০০ বছরের পুরাতন খালটি ৪ থেকে ৫ শত মিটার খাল খনন না হওয়ার কারনে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক কৃষক পরিবার পানিতে ডুবে মরবে, এবং ১ হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হলে ১০ হাজার কৃষকের মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারবে না। এতে পথের ফকির হবে ৫/৬ হাজার কৃষক পরিবার। এদের কান্নার শেষ নাই।
আজ রবিবার ঘটনাস্থলে সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতাদের দেখে প্রায় অর্ধশত নারীরাও বামোনগারিয়ার ১০০ বছর আগের পুরাতন খালটি খনননের জোড় দাবি জানান এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিষয়টি অত্যান্ত জনগুরুত্বপুর্ন বিধায়, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রাফিউল মিন্টু গনমমাধ্যম কে জানান, সম্প্রতি এই খালটি খননের উদ্যোগ নিলেও হটাৎ মালিকানা জটিলতায় খনন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে দ্রুতই খালটি খনন না হলে ৫ গ্রামের ৫/৬ হাজার কৃষকদের সমস্ত ফসল ডুবে যাবে।
খাল খনন নিয়ে কথা হয় ২ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি মোঃ আফসারের সাথে, তিনি গনমমাধ্যম কে বলেন, বামোনগারিয়ার এই খালটির বয়স প্রায় ১০০ বছর। এটা দিয়ে ৫ গ্রামের পানি নামতো। খালটি পুঃন খনন খুবই জরুরী।
খাল খনন নিয়ে কথা হয়, স্হানীয় মুরব্বি, চন্দ্র কুন্ড,সুকুমার মুখার্জি, কাদেরদি কলেজের ষ্টাফ মোঃহাবিবুল মাতুব্বরের সাথে তারা গনমমাধ্যম কে জানান,বামোনগারির বিলের পানি ও জলাবদ্ধতা দুর করতে ১০০ বছর আগে এই খালটি সচল ছিল। আমরাই ৬০/৭০ বছর যাবৎ দেখছি। খালটির পুঃন খনন খুবই জরুরী।
এ বিষয় কথা বলার জন্য, বোয়ালমারীর এসিল্যান্ড মারিয়া হক এবং নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম কে, তাদের নিজ নিজ মোবাইলে ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ না করায়, তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
প্রিন্ট