বসন্ত আসবে দু’দিন পর। অথচ সপ্তাহজুড়েই বসন্ত হাওয়া। হাওয়ায় খানিক শীতের আধিক্য বটে, তবে তাতে ফাগুনের আগমনের বার্তাই মিলছে। মাঘের শেষ বেলা এখনও, অথচ ফাগুন হাওয়ায় দোল খাচ্ছে বইমেলা।
মেলায় এখন আনন্দজোয়ার। কাল বাদে পরশুই বসন্তবরণ। পরের দিন বিশ্ব-ভালোবাসা দিবস। এ দু’দিনের অপেক্ষার তর যেন সইছেই না। প্রস্তুতি চলছে আরও আগে থেকেই। এখন যেন শুধু স্বাগত জানানোর পালা। পাঠক, লেখক, প্রকাশক, আয়োজক সবার মধ্যেই বসন্তবরণ আর ভালোবাসা দিবসের তাড়া।
প্রাণের মেলার দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। বসন্তবরণ এবং ভালোবাসা দিবসের মধ্য দিয়েই মধ্য সময়ে গড়াবে মেলা। সত্যিকার অর্থে মেলা জমে ওঠে ঠিক এই সময় থেকেই। এই দুই দিবসেই মূলত মেলার রূপ বদলে যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাহিত্যপ্রেমী তরুণ-তরুণীরা দিন দুটিকেই বিশেষ উপলক্ষ মানছে। বসন্তবরণের রেশ না কাটতেই ভালোবাসা দিবসের হাতছানি। আর তাতেই তারুণ্যের উপচে পড়া ঢেউ। সে ঢেউয়ে মেলার কূল ভাঙা অবস্থা প্রায়। এবারও তাই হবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ। বলেন, ‘এবারে বইমেলা শুরু থেকেই জমে ওঠেছে। মেলার কাঠোমোও পরিবর্তন এসেছে। রাজনৈতিক, সামাজিক অস্থিরতাও নেই। সবমিলে এবারে আমরা অধিক আশাবাদী।’
ড. জালাল বলেন, ‘মূলত মেলা মধ্য সময় থেকেই বিশেষ প্রাণ পায়। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখে আসছি, বসন্তবরণ এবং ভালোবাসা দিবসে মানুষের তিল ধরার ঠাঁই থাকে না। এই সময় থেকে তারুণ্যের যে ঢেউ লাগে তাতে শেষ পর্যন্ত জোয়ার থাকে মেলায়। এবারও তাই আশা করছি। আর এই দু’দিন ঘিরে আমাদের প্রস্তুতিও ব্যাপক। বিশেষ করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে যাবে মেলা এবং শাহবাগ এলাকা।’
জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনীর সভাপতি ও সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘নানা আঙ্গিকেই মেলা নিয়ে এবারে আমরা আশাবাদী। সম্পর্কিত না হলেও অস্বীকার করার উপায় নেই বইমেলায় বসন্তবরণ এবং ভালোবাসা দিবসের গুরুত্ব। এই সময়টির জন্য এখন সবারই অপেক্ষা। অনেক লেখক এবং প্রকাশক এই দুই দিনেই বই প্রকাশ করে থাকে। বিক্রিও হয় বেশ। অন্তত বিগত দিনে তারই প্রমাণ মিলছে। এ দু’দিনকে বরণ করতে মেলা আয়োজকরাও বিশেষ প্রস্তুত বলে মনে করি।’
প্রিন্ট