নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ৭নং কালিকাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ধনেশ্বর ও গোয়ালবাড়ীর বুক চিরে প্রাবাহিত হয়েছে গোয়ালবাড়ী দহ্ নামে একটি নদী সাদৃশ্য খাল। এ খালটি সুটটিগাছা স্লুইস গেইট হয়ে আত্রাই নদীতে মিলিত হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছেন এই ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সহ হাজার হাজার মানুষ। এই ইউনিয়নের ১০-১২টি গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো।
জানা যায়, আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের গজমতখালী হয়ে পাইকারা ও বাজেধনেশ্বরের পাশ দিয়ে এ খাল প্রভাবিত হয়ে আত্রাই নদীতে মিলিত হয়েছে। এই খাল বা দহ্রে উপর বহু বছর পূর্বে নির্মিত হয়েছিল একটি বাঁশের সাঁকো। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই খাল বা দহ্রে উপর এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয় এই বাঁশের সাঁকো। প্রতি বছর বাঁশের সাঁকো সংস্কার করে এলাকাবাসী যাতায়াত করে আসছেন। সেই সাঁকোটিও এখন নড়বড়ে অবস্থা।
এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকে ছোট খাটো দূর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। প্রয়াত এম.পি ইসরাফিল আলমের সময় ব্রীজ নির্মাণের জন্য ৬টি পিলার বসানো হয়েছিল, কিন্তু পরে অজ্ঞাত কারণে ব্রীজটি নির্মিত হয়নি। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দহ্ বা খাল পারাপারের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। এলাকাবাসীর মারফত জানা যায়, ১০-১২টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। কালিকাপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী গ্রামের ডাঃ সাহাজুল ইসলাম, ডাঃ জোগেশ চন্দ্র, জমির উদ্দিন ও জিয়া সহ আরো অনেকে বলেন, নির্বাচনের সময় ব্রীজ করে দেবে বলে আশ্বাস দিয়ে ভোট নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ সালথায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা সেই তরুণীর বিয়ে
এলাকাবাসী ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। কিন্তু ব্রীজ হয়না। আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান (এবাদ) বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের কষ্ট নিরসনের জন্য একটি ব্রীজ করে দেওয়া হবে। এছাড়া ৭নং কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হোসেন নাদিম এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রিন্ট