ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেল নববধু পুরুষ মানুষ Logo গোমস্তাপুর সাপের কামড়ে এক শিশুর মৃত্যু Logo কুষ্টিয়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে ডিবি পুলিশের এসআই আহত, ২ জন আটক Logo মুকসুদপুরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠান Logo সভাপতি মনিরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান নির্বাচিত Logo ফরিদপুরে জিপিএ-৫ পাওয়া দুঃস্থ ১২ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ও অনুদান প্রদান Logo সদরপুরে জুলাই পনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত Logo তানোরের বিএমডিএর সেচ প্রকল্পের কল্যানে ফসলের মাঠ সবুজে ভরে উঠেছে Logo বাগাতিপাড়ায় জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান Logo গোমস্তাপুরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় নৈরাজ্য দূর করার দাবিতে গণকমিটির সমাবেশ 

চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে নৈরাজ্য দূর করার দাবিতে গণকমিটি মাগুরা জেলার উদ্যোগে আজ বুধবার ১৫ জুন ২০২২ সকাল ১১টায় চৌরঙ্গী মোড়ে মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ  অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণকমিটির আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু। বক্তব্য প্রদান করেন, গণকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক  কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, গণকমিটি মাগুরা জেলার অন্যতম সদস্য বাসারুল হায়দার বাচ্চু।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে প্রচুর চাল। কিন্তু কয়েকটি বড় কম্পানি সিন্ডিকেট করে সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ মুখে মুখে ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করেন, কয়দিন লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হয়। তারপর যথারীতি বর্ধিত দামে জনগণকে চাল কিনতে হয়। অবৈধ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আরও মুনাফা করে; তাদের কোন শাস্তি হয় না। এই চিত্র সয়াবিন তেল, ডালসহ সকল নিত্যপণ্যের বেলায় সত্য।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মাগুরা জেলায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য চলছে। এখানে ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ ক্লিনিক গজিয়ে উঠেছে। এগুলোতে কখনো নার্স ডাক্তার সেজে অপারেশন করে রোগী মেরে ফেলে, কখনো রোগীর শরীরে অন্য গ্রুপের রক্ত ঢুকিয়ে মেরে ফেলে। তারপর এদের কিছু জরিমানা হয়; কয়দিন ক্লিনিক বন্ধ থাকে; তারপর উপর মহলে টাকা দিয়ে আবারও খুলে যায় এসব ক্লিনিক। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অপর্যাপ্ত। ওষুধ, টেস্ট, অপারেশনসহ বেশিরভাগ  চিকিৎসা হাসপাতালের বাইরে থেকে নিতে হয়। ফলে রোগীরা এসব ক্লিনিকে যেতে একভাবে বাধ্য হয় এবং অপচিকিৎসার শিকার হন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ভেঙে ভোজ্য তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, মজুতদার ও মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ীদের শাস্তি, রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করতে হবে এবং মাগুরা জেলায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য বন্ধ করে, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেল নববধু পুরুষ মানুষ

error: Content is protected !!

মাগুরায় নৈরাজ্য দূর করার দাবিতে গণকমিটির সমাবেশ 

আপডেট টাইম : ০১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাঃ :
চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে নৈরাজ্য দূর করার দাবিতে গণকমিটি মাগুরা জেলার উদ্যোগে আজ বুধবার ১৫ জুন ২০২২ সকাল ১১টায় চৌরঙ্গী মোড়ে মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ  অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণকমিটির আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু। বক্তব্য প্রদান করেন, গণকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক  কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, গণকমিটি মাগুরা জেলার অন্যতম সদস্য বাসারুল হায়দার বাচ্চু।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে প্রচুর চাল। কিন্তু কয়েকটি বড় কম্পানি সিন্ডিকেট করে সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ মুখে মুখে ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করেন, কয়দিন লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হয়। তারপর যথারীতি বর্ধিত দামে জনগণকে চাল কিনতে হয়। অবৈধ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আরও মুনাফা করে; তাদের কোন শাস্তি হয় না। এই চিত্র সয়াবিন তেল, ডালসহ সকল নিত্যপণ্যের বেলায় সত্য।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মাগুরা জেলায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য চলছে। এখানে ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ ক্লিনিক গজিয়ে উঠেছে। এগুলোতে কখনো নার্স ডাক্তার সেজে অপারেশন করে রোগী মেরে ফেলে, কখনো রোগীর শরীরে অন্য গ্রুপের রক্ত ঢুকিয়ে মেরে ফেলে। তারপর এদের কিছু জরিমানা হয়; কয়দিন ক্লিনিক বন্ধ থাকে; তারপর উপর মহলে টাকা দিয়ে আবারও খুলে যায় এসব ক্লিনিক। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অপর্যাপ্ত। ওষুধ, টেস্ট, অপারেশনসহ বেশিরভাগ  চিকিৎসা হাসপাতালের বাইরে থেকে নিতে হয়। ফলে রোগীরা এসব ক্লিনিকে যেতে একভাবে বাধ্য হয় এবং অপচিকিৎসার শিকার হন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ভেঙে ভোজ্য তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, মজুতদার ও মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ীদের শাস্তি, রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করতে হবে এবং মাগুরা জেলায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য বন্ধ করে, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রিন্ট