নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা করে এক লম্পট দুলাভাই। স্থানীয় জনতা ঘটনাটি টের পেয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং দুলাভাইকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটককৃত দুলাভাই মাসুদ ফকির (২৭)। সে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার দুর্গাপুর বাওইখোলা গ্রামের আব্দুল জলিল ফকিরের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় গত শুক্রবার। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এ ঘটনার সুযোগ নেয় স্কুলছাত্রীর চাচাতো বোনের স্বামী লম্পট মাসুদ করিম।
অনেক আগে থেকেই শ্যালিকার ওপর তার লোলুপদৃষ্টি ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে সে শ্বশুরবাড়িতে যায়। পরে গোপনে তার শ্যালিকার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে শ্যালিকাকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে আসে। রাতে পার্শ্ববর্তী কালুখালী রেলওয়ে স্টেশনের পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
পরদিন শুক্রবার সকালে মাসুদ তার শ্যালিকাকে জানায়- তার প্রেমিক দৌলতদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে আছে। তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। পরবর্তীতে তারা মাহেন্দ্রযোগে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক নম্বর গেটের সামনে আসে।
সেখানে পল্লীর অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি এসে মাসুদ ফকিরের সঙ্গে কথা বলে। এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মাসুদ ফকিরকে কিছু টাকা দেয়। পরবর্তীতে সে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পতিতাপল্লীর ভেতর রওনা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর পল্লীর মেয়েদের দেখে স্কুলছাত্রীর সন্দেহ হয় এবং তখন সে ভেতরে যেতে আপত্তি করে।
এ সময় তার লম্পট দুলাভাই জোরপূর্বক ভেতরে নেয়ার চেষ্টা করলে স্কুলছাত্রী চিৎকার শুরু করে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং মাসুদ ফকিরকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, স্কুলছাত্রীর গোপন প্রেমের সুযোগ নেয় লম্পট দুলাভাই। তাকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট