ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সংযুক্ত আরব আমিরাতে আ.লীগ নেতাদের সম্পদের পাহাড়, টাকা ফেরত দিতে ইতিবাচক সাড়া Logo ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র Logo গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু Logo সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ‌ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ Logo কিশোর গ্যাংদের কোপে দুই কিশোর নিহতের ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ৪০ রোহিঙ্গাকে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে ভারত! Logo মঙ্গলকোট থানার লাখুড়িয়ায় শান্তির খোঁজে বসছে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প Logo ফারাক্কা ইস্যু নিয়ে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবেঃ অধ্যাপক নার্গিস বেগম Logo বাঘায় আগুনে বসতবাড়ি ও দু’টি গরু পুড়ে ছাই Logo মুদি দোকান তার সাইনবোর্ডঃ লিবিয়ার পাসপোর্ট, টিকিট, ভিসা’ই শান্তি বেগমের বিক্রয়পন্য
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নির্বাচনে ভাই হেরে যাওয়ায় মাদ্রাসা ভেঙে নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে মেয়রপদে ভাই হেরে যাওয়ার জেরে মাদ্রাসা ভেঙে নিয়ে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান। কুয়াকাটার পার্শ্ববর্তী লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা এলাকার বাহামকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার সকাল ৭টার দিকে টিনের ঘরের ওই মাদ্রাসাটি ভেঙে একই গ্রামের অন্যত্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার হামেদ গাজী নামে জনৈক ব্যক্তি খাজুরা বাহামকান্দা খাইরুন্নেছা মডেল মাদ্রাসার অনুকূলে ৩০ শতক জমি দান করেন। ১৫ দিন আগে দানকৃত জমিতে স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ীর আর্থিক সহায়তায় একটি টিনের ঘর তুলে মাদ্রাসার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।

দাতা হামেদ গাজী বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে আ. বারেক মোল্লা হেরে যাওয়ায় তার ভাই লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা উড়ে এসে জুড়ে বসে মাদ্রাসার সভাপতি হন। এরপর স্বেচ্ছাচারী আচরণ শুরু করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে কোনো আলাপ-আলোচনা না করেই শনিবার সকালে আনছার মোল্লার নির্দেশে মাদ্রাসাটি তার লোক সালাম গাজী ও মজিদ মাঝির নেতৃত্বে ভেঙে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিদ মাঝি বলেন, মাদ্রাসার জন্য জমি দিয়ে হামেদ গাজী তার নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন।

এ ব্যাপারে আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, পৌর নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ দাতা হামেদ গাজীর পছন্দের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় মাদ্রাসাটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আ.লীগ নেতাদের সম্পদের পাহাড়, টাকা ফেরত দিতে ইতিবাচক সাড়া

error: Content is protected !!

নির্বাচনে ভাই হেরে যাওয়ায় মাদ্রাসা ভেঙে নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ :

কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে মেয়রপদে ভাই হেরে যাওয়ার জেরে মাদ্রাসা ভেঙে নিয়ে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান। কুয়াকাটার পার্শ্ববর্তী লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা এলাকার বাহামকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার সকাল ৭টার দিকে টিনের ঘরের ওই মাদ্রাসাটি ভেঙে একই গ্রামের অন্যত্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার হামেদ গাজী নামে জনৈক ব্যক্তি খাজুরা বাহামকান্দা খাইরুন্নেছা মডেল মাদ্রাসার অনুকূলে ৩০ শতক জমি দান করেন। ১৫ দিন আগে দানকৃত জমিতে স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ীর আর্থিক সহায়তায় একটি টিনের ঘর তুলে মাদ্রাসার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।

দাতা হামেদ গাজী বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে আ. বারেক মোল্লা হেরে যাওয়ায় তার ভাই লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা উড়ে এসে জুড়ে বসে মাদ্রাসার সভাপতি হন। এরপর স্বেচ্ছাচারী আচরণ শুরু করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে কোনো আলাপ-আলোচনা না করেই শনিবার সকালে আনছার মোল্লার নির্দেশে মাদ্রাসাটি তার লোক সালাম গাজী ও মজিদ মাঝির নেতৃত্বে ভেঙে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিদ মাঝি বলেন, মাদ্রাসার জন্য জমি দিয়ে হামেদ গাজী তার নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন।

এ ব্যাপারে আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, পৌর নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ দাতা হামেদ গাজীর পছন্দের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় মাদ্রাসাটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট