কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে মেয়রপদে ভাই হেরে যাওয়ার জেরে মাদ্রাসা ভেঙে নিয়ে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান। কুয়াকাটার পার্শ্ববর্তী লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা এলাকার বাহামকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে টিনের ঘরের ওই মাদ্রাসাটি ভেঙে একই গ্রামের অন্যত্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার হামেদ গাজী নামে জনৈক ব্যক্তি খাজুরা বাহামকান্দা খাইরুন্নেছা মডেল মাদ্রাসার অনুকূলে ৩০ শতক জমি দান করেন। ১৫ দিন আগে দানকৃত জমিতে স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ীর আর্থিক সহায়তায় একটি টিনের ঘর তুলে মাদ্রাসার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
দাতা হামেদ গাজী বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে আ. বারেক মোল্লা হেরে যাওয়ায় তার ভাই লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা উড়ে এসে জুড়ে বসে মাদ্রাসার সভাপতি হন। এরপর স্বেচ্ছাচারী আচরণ শুরু করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে কোনো আলাপ-আলোচনা না করেই শনিবার সকালে আনছার মোল্লার নির্দেশে মাদ্রাসাটি তার লোক সালাম গাজী ও মজিদ মাঝির নেতৃত্বে ভেঙে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিদ মাঝি বলেন, মাদ্রাসার জন্য জমি দিয়ে হামেদ গাজী তার নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন।
এ ব্যাপারে আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, পৌর নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ দাতা হামেদ গাজীর পছন্দের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় মাদ্রাসাটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট