নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১২৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৭টি তেই প্রধান শিক্ষক নেই। উপজেলার সরকারী বিদ্যালয় গুলোতে সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে ৭৬ টি। শিক্ষক স্বল্পতা একাডেমিক ও প্রশাসনিক শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরার উপক্রম হয়েছে।
আত্রাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলার মোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১২৯টি। এর মধ্যে ৩৭টি তেই প্রধান শিক্ষক নেই। যেসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলো হচ্ছে, আত্রাই আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজেধশ্বের, বাঁকা, বড়সাওতা, বড় কালিকাপুর, বেওলা চৌরবাড়ী, ভাঙ্গা জাঙ্গাল, হাটকালুপাড়া, জগদাস, নবাবের তাম্বু, সোনাইডাঙ্গা, থলওলমা, রসুলপুর, কচুয়া রজনীকান্ত, বহলা, জয়নাথপুর, হরিপুর, বড়াইকুড়ি, বামনীগ্রাম, তেঘরী, রামচন্দ্রবাটি, তাড়াটিয়া বড়ডাঙ্গা, মনিয়ারী, বিষ্ণপুর, জগদীসপুর, সাধনগর, পাইকারা দক্ষিণপাড়া, নন্দীগ্রাম, কালিকাপুর, কাসুন্দা, দড়গাপাড়া, কয়াপাড়া, ঝনঝনিয়া ও পারগুড়নই।
এছাড়া সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে, বাহাদুরপুর, বাজেধনেশ্বর, বলরামচক, বড় কালিকাপুর, বেওলা চৌররাড়ী, ভবানীপুর, ভোঁপাড়া, বিষা, চক, চাপড়া, দিপচাঁদপুর, গন্ডগোয়ালী, গুলিয়া, হাটকালুপাড়া, হিঙ্গলকান্দী, জালুপুতা, খড়সতী, কোচপাড়া, পাইকড়া, পাথাইলঝাড়া, সডেল, পতিসর, রাণীনগর, সাহাগোলা, শুদর্শনা, সুদরানা, তারাটিয়া, থলওলমা, তিলাবদুরী, দাড়িয়া, রসুলপুর, কচুয়া রজনীকান্ত, পাহাড়পুর, বহলা, মধুগুড়নই, ভরমাধাইমুরী, শিমুলিয়া, ডাঙ্গাপাড়া, গোয়ালবাড়ী, মুসকিপুর, বামনীগ্রাম, পাড়ব্রজপুর, পারমোহনঘোষ, মুনিয়ারী, ইসলামপুর, লালপাড়া, সাধনগর, পাইকড়া দক্ষিণপাড়া, মাগুড়া, আকবরপুর, খাসখামার, কালিকাপুর, পাইকারা বড়াইকুড়ি, ক্ষুদ্র বিষা, বিলবাড়ী ও ঝনঝনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বট বৃক্ষের চারা রোপন করলেন স্কুল শিক্ষক নুরুল ইসলাম
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে এসব বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। আর সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে ৭৬টি।
এসব স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতার কারনে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পরার উপক্রম হয়েছে। সহকারী শিক্ষক স্বল্পতার কারনে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে হিমসীম খাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের একাধিক সহকারী শিক্ষকগন হতাশা প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে দুঃচিন্তা বেড়েই চলেছে। অনেকের দাবি অতি শীঘ্রই বিদ্যালয় গুলোতে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের শূণ্যপদ পূরণ করা হোক। অন্যথায় শিক্ষা ব্যবস্থা ধিরে ধিরে ক্ষতির দিকে ধাবিত হতে পারে। আত্রাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের শূণ্য পদ পূরণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি।
প্রিন্ট