শহরের হাউজিং এস্টেটে শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজ নামক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। ৩ জুন শুক্রবার সকালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অতুল সরকার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠানটির ফলক উন্মোচন করেন।
এ সময় হাউজিং এস্টেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডাঃ এম এ জলিলের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার কে ধন্যবাদ জানানো হয়।
একই সাথে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য কামনা করে সর্বদা জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহযোতিা কামনা করেন অনুষ্ঠানটির আয়োজকবৃন্দ। এ সময় শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জেলা প্রশাসক অতুল সরকার প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার আহবান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি জিনিস জন্ম দেওয়া যতটা কঠিন, তেমনি তাকে বাচিয়ে রাখাটাও একটি চ্যালেঞ্জ। তাই এই প্রতিষ্ঠান কে বাচিয়ে রাখতে হলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আগামী বছর ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাস থেকেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম মোল্যা, শাহীন চৌধুরী, কাজী ইমাম হোসেন প্রমূখ। এসময় অধ্যাপক রোকেয়া বেগম, শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজের দাতা সদস্য সাজিদ আহমেদ মাসুদ, এ্যাড. আব্দুর রশিদ, এ্যাড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক কাজী কামরুল সহ হাউজিং এস্টেটের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সুব্রত কুমার মিত্র এর সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হাউজিং এস্টেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লাবলু। এর আগে শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ক্যাম্পাসে একটি গাছের চারা রোপন করেন। উল্লেখ্য ১৯৮৮ সালে শহরের মহিম ইনস্টিটিউশনের পাশে রঘুনন্দনপুর এলাকায় হাউজিং স্টেট গড়ে তোলার পর ২০০০ সাল থেকে এ এলাকায় বসতি গড়ে ওঠে।
বর্তমানে এই স্টেটে ৪২৬টি প্লটে অন্তত সহস্রাধীক পরিবার বসবাস করে। ওই স্টেটে আগে থেকেই স্কুল ও কলেজের জন্য ১২০ শতাংশ জমি বরাদ্দ করে রাখা হয়েছিল। সে জায়গাটিতেই শেখ রাসেল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রিন্ট