ঝিনাইদহে আন্ত:জেলা পকেটমার দলের ১৬ সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার বিকেলে জেলা বিএনপির সম্মেলন থেকে ফেরার পথে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের জজ কোর্টের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- খুলনা সদরের হাফেজ উদ্দীনের ছেলে বাদল হাওলাদার (৫০), লাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), চাঁন্দু সরদারের ছেলে ইসমাইল সরদার (৫০), রুপসা থানার জজ আলী শেখের ছেলে ইসহাক শেখ (৫০), মজিদ গাজীর ছেলে মনির গাজী (৪৪), ফুলতলার আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে ওমর ফারুক মোল্লা (২৫), বটিয়াঘাটার আব্দুর রহমানের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩২), নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দুলাল চন্দ্র দে’র ছেলে রতন চন্দ্র দে (৩৭), আবুল কালামের ছেলে রাসেল (২৪), সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মুধু মিয়ার ছেলে শাহিন (২৫), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নিজাম উদ্দনের ছেলে রুবেল খা (২২), সিলেটের দক্ষীন সুরমা উপজেলার আব্দুল শহিদুলের ছেলে গুলজার আহম্মেদ (২৬), কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আবুল হোনের ছেলে আব্দুল হালিম (৫৫), শরীয়তপুরের গোসাইর হাট উপজেলার আব্দুল সামাদ আলীর ছেলে শওকত আলী (৫০), বাগেরহাট সদরের আব্বাস শেখের ছেলে জুয়েল শেখ (২৮) ও মকলেস শেখের ছেলে মুরাদ শেখ (২৬)।
আরও পড়ুনঃ আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
রোববার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ জানান, শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি থাকবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই চক্রটি ২ টি মাইক্রোবাস যোগে ঝিনাইদহে আসে। সম্মেলন চলাকালীন সময়ে মোবাইল ফোন চুরি কারার সময় মুরাদ শেখ নামের এক আন্তঃ জেলা পকেটমার দলের সদস্যকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলের অন্য সদস্যরা ২টি মাইক্রোবাসে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। সেসময় ডিবি পুলিশের একটি দল ঝিনাইদহ শহরের জজ কোর্টের সামনে চেকপোষ্ট বসিয়ে ১৬ সদস্যকে আটক করে। সেসময় তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ মোবাইল, ৬১ হাজার টাকা। জব্দ করা হয় দুটি মাইক্রোবাস। চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ টার্গেট করে এই অপরাধগুলো করে আসছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রিন্ট