ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভায় মহিলা লীগ নেত্রী, দিলেন বক্তব্যও Logo মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগী কর্তৃক অগ্নিসংযোগ ও অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর Logo সদরপুরে হেরোইনসহ যুবক আটক Logo নাটোরের বড়াইগ্রামে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সেই ভ্যানের দুই যাত্রীর মৃত্যু Logo ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর খোঁজে বিএনপি রাজশাহী-১ আলোচনায় যারা Logo দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানায় ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন Logo বসতভিটায় মিন্টুর শখের বাগান Logo ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের গ্রেপ্তার এবং গাজা গণহত্যায় বন্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস পালিত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ‘হাসামদিয়া গণহত্যা’ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার হাসামদিয়ায় অবস্থিত শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজ চত্বরে স্থাপিত শহীদ স্মৃতি নামফলকে বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শাহ জাফর টেকনিকাল কলেজ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া কলেজ মিলনায়তনে অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জসীম পল্লী মেলা শুরু

কাজী তারেক পারভেজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, সাবেক সহকারি কমান্ডার কে এম জহুরুল হক জহুর, ডেপুটি কমান্ডার সৈয়দ আ. রউফ সিদ্দিকী প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সন্তান প্রফেসর দেবাশীষ সাহা, জীবন কৃষ্ণ রায়, ডা. বিধান চন্দ্র দে, মহাদেব চক্রবর্তী, বিনোদ বালা দে প্রমুখ।

আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সন্তানেরা গণহত্যায় ৩৩ জন শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৬ মে তিন শতাধিক পাকসেনার একটি বহর যশোর থেকে রেলযোগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ডিপুটি কমান্ডার শাহ মো. আবু জাফর ও তার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে আসে।

আরও পড়ুনঃ পাংশায় ৭ বছরের শিশুকন্যা যৌন নিপীড়নের শিকার !

তাদের না পেয়ে পাক বাহিনীর দোসর, স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় হাসামদিয়া, রামনগর, রাজাপুর, ময়েনদিয়া, রাজাবেনি, মিঠাপুর পোয়াইলসহ কয়েকটি গ্রামের ৩৩ জন নিরস্ত্র, নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় হিন্দু অধ্যুসিত এলাকায় আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। স্থানীয় ময়েনদিয়া বাজারের চালানো হয় লুটপাট। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৫০ এর অধিক দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভায় মহিলা লীগ নেত্রী, দিলেন বক্তব্যও

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস পালিত

আপডেট টাইম : ০২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি, বোয়ালমারী, ফরিদপুরঃ :

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ‘হাসামদিয়া গণহত্যা’ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার হাসামদিয়ায় অবস্থিত শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজ চত্বরে স্থাপিত শহীদ স্মৃতি নামফলকে বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শাহ জাফর টেকনিকাল কলেজ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া কলেজ মিলনায়তনে অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জসীম পল্লী মেলা শুরু

কাজী তারেক পারভেজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, সাবেক সহকারি কমান্ডার কে এম জহুরুল হক জহুর, ডেপুটি কমান্ডার সৈয়দ আ. রউফ সিদ্দিকী প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সন্তান প্রফেসর দেবাশীষ সাহা, জীবন কৃষ্ণ রায়, ডা. বিধান চন্দ্র দে, মহাদেব চক্রবর্তী, বিনোদ বালা দে প্রমুখ।

আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সন্তানেরা গণহত্যায় ৩৩ জন শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৬ মে তিন শতাধিক পাকসেনার একটি বহর যশোর থেকে রেলযোগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ডিপুটি কমান্ডার শাহ মো. আবু জাফর ও তার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে আসে।

আরও পড়ুনঃ পাংশায় ৭ বছরের শিশুকন্যা যৌন নিপীড়নের শিকার !

তাদের না পেয়ে পাক বাহিনীর দোসর, স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় হাসামদিয়া, রামনগর, রাজাপুর, ময়েনদিয়া, রাজাবেনি, মিঠাপুর পোয়াইলসহ কয়েকটি গ্রামের ৩৩ জন নিরস্ত্র, নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় হিন্দু অধ্যুসিত এলাকায় আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। স্থানীয় ময়েনদিয়া বাজারের চালানো হয় লুটপাট। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৫০ এর অধিক দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।


প্রিন্ট