ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি হাফেজিয়া ও এতিমখানা (কওমি) মাদ্রাসায় স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের যাত্রা শুরু হয়েছে।
গতকাল (০৭.০১.২০২১) বৃহষ্পতিবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের রেনীনগর মোহাম্মাদিয়া আজিজিয়া হাফেজিয়া (কওমি) মাদ্রাসা ও এতিমখানা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৩৬ বছরের মধ্যে কখনো জাতীয় পতাকা উত্তোলিত করা হয়নি। মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওই প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবনের উদ্বোধনের সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের উদ্যোগ নেন। এর পর থেকেই ওই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পতাকা উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন গুনবহা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মো. ওলিয়ার রহমান, ইউপি সদস্য মো. লুৎফর রহমানসহ পরিচালনা পর্যদের সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও সুধীজন প্রমুখ।
এ ব্যপারে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাযহারুল আনোয়ার বলেন, এ দেশের ত্রিশ লক্ষ শহীদদের আত্মত্যাগ ও অনেক মা-বোনের স¤্রামের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আর সেই দেশের কোন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে না, এটা হতেই পারে না। তাই জাতীয় পতাকার সম্মান রাখতে আমি এ ধরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এখন থেকে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। আমরা গত পহেলা জানুয়ারি মাদ্রাসার নতুন ভবনের উদ্বোধনের সময় আনুষ্ঠানিক ভাকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শুরু করেছি।
এ ব্যপারে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ বলেন, জাতীয় পতাকা আমাদের অস্থিত্বের প্রতীক। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোন কওমি মাদ্রাসা আনুষ্ঠানিক ভাবে পতাকা উত্তোলনের যাত্রা শুরু করেছে। নিশ্চয় এটি ভালো উদ্যোগ। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে উক্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়। পাশাপাশি বাংলাদেশের সব কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় পাতাকা উত্তোলন নিশ্চিত করনে সরকার উদ্যোগ নিবেন এটা আমাদের প্রানের দাবী।
প্রিন্ট