মাগুরায় প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট পিটিআই এর সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুনের নানা আর্থিক দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সচেতন মহল।
বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল সকাল ১০ টার সময় শহরের ঢাকার রোড এলাকার পিটিআই এর সামনে মানববন্ধন করে অভিবাবক ও স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুনের সিমাহীন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিচার দাবী করেন তারা। অভিযোগকারীরা জানান, শাহিদা খাতুন গত ২৭ বছর ধরে মাগুরা পিটিআই এ চাকরি করে আসছেন। তিনি পিটিআই স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য, স্কুল পরিচালনায় ব্যর্থতা ও করোনার সময় ওয়ার্কসীটের টাকা আত্মসাৎসহ ব্যাপক অনিয়ম ও নানাবিধ দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।অভিভাবকবৃন্দ দ্রুত শাহিদা খাতুনের অপসারণ ও দূর্নীতির বিচার দাবী করেন।
সরেজমিনে আরও জানা যায়, পুরাতন ব্লিডিং এর রড বিক্রি প্রায় দেড় লাখ টাকা, ৩০ হাজার টাকার সুপারি, চলমান ব্লিডিং এর ৫ ব্যাগ সিমেন্ট ও ২০ ফুট পাথর নিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছে।
এছাড়াও ইন্সট্রাক্টর থাকাকালীন সময় থেকে বর্তমান সুপারিনটেনডেন্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকাকালীন অবস্থায় বিগত ২৭ বছরের বহু সরকারি টাকার ৮০% নিজের সুকৌশল বুদ্ধিতে হাতিয়ে নেওয়া। বঙ্গবন্ধু কর্ণার ভবন রুমে সরকারি টাকার ক্রয়ের অনুদানের সঠিক বই নেই, সেখানে পাওয়া গেছে তার মেয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া বই। নিজস্ব সরকারি বাস ভবনে না থেকে তিনি থাকেন শহরের নিজস্ব আলিশান বাড়িতে।
তিনি সাংবাদিকদের সাথে রাগান্বিত আচরণ এবং কোন তথ্য দিতে নারাজ, অফিসে তার বুয়েটে পড়া ছেলেকে সবসময় দেখা যায় মা শাহিদা খাতুনের সাথে আছেই, সাংবাদিকদের দেখে ছেলেটা ভয়ে দুই তলা থেকে দৌড়ে পালাচ্ছিলো। সহকারী সুপার আলী আহসান বলেন, আমরা নিজেদের চাকরি হারানোর ভয়ে সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে কোন কথা উপর মহলে জানাতে পারি না।
এজন্যই মাগুরা জেলার সুশীল সমাজের জনগণ এই দূর্নীতিবাজ ও অহংকারী সুপারিনটেনডেন্টকে অচিরেই আইনের আওতায় বিচার করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে মাগুরা জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি আশা করেন।
প্রিন্ট