ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা Logo মাগুরায় শত্রুজিৎপুর নূরুল ইসলাম দাখিল মাদরাসায় জালিয়াতি করে চাকরির অভিযোগ Logo মুকসুদপুরে সাংবাদিক হায়দারের কুশপুত্তলিকা দাহ Logo মুকসুদপুরে যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ Logo তানোরে সার চোরাচালানের মহোৎসব! Logo ফরিদপুরে ৫ দিনব্যাপী ৮৬১ ও ৮৬২ তম কাব স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স উদ্বোধন Logo রূপগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায় Logo তানোরের নারায়নপুর স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান Logo বাঘায় গলা কেটে হত্যা, নিহতের ভাইরা ভাই রায়হান গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরা মহিষাডাঙ্গায় ইউপি মেম্বর স্বরুপজান খাতুনের বাড়ি ঘর সহ দোকান ভাঙচুর

মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা গ্রামে জাম গাছ কে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ও বাজারের দোকান ভাঙচুর। গত শুক্রবার ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭.২৫ টার সময় মহিষাডাঙ্গা বাজারে রসুলের চা এর দোকানে বক্কার বিশ্বাসের ছেলে মহব্বত বিশ্বাস তার চাচা খলিল বিশ্বাস কে ঝড়ে জাম গাছ পড়ার কথা বলে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে মৃত বারিক বিশ্বাসের জমিতে একটা বড় জাম গাছ পড়ে বিদ্যুৎের তিনটি তার ছিড়ে যায় এবং খলিল ডাল-পাতা দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। এ জন্য  রাস্তার পথ সঠিকভাবে চলাচল করার জন্য বক্কার বিশ্বাস ছেলেদের নিয়ে পড়ে যাওয়া গাছটিকে সরিয়ে রাখে। এই জাম গাছের ডাল ও পাতা কেন সরালো এর জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
গত কাল সন্ধ্যার পর মহিষাডাঙ্গা বাজারে মহব্বত বিশ্বাস তার চাচা কে বলেন, চাচা চলেন জাম গাছের বিষয়টি নিয়ে পাশে চা এর দোকানে বসি। তখন হঠাৎ করে ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শওকত বিশ্বাসের ছেলে ফয়সাল বিশ্বাস এসে বলে খলিল বিশ্বাস আমার দলের লোক। তখন তোফাজ্জেল এসে আরজেন বিশ্বাস ও ফয়সাল বিশ্বাস করে বলে তারা দুজন চাচা-ভাতিজা কথা বলছে তোমাদের সমস্যা কি। এরপরই বিল্লাল বিশ্বাস পিং- মখলেজ মাস্টার বাজারে পরপর ৩ টা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করে। তারপর ফয়সালের শতাধিক লোকজন বাজারের সেলিম হোটেল, লোকমান হোটেল, হেলাল মোবাইল সেন্টার, শাহারুলের চা এর দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে।
এ সময়ে সংঘবদ্ধ লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও আধলা ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ফয়সালের দলের  লোকজন ইউপি মহিলা মেম্বার সদস্য স্বরুপজান খাতুনের বাড়িতে ইট নিক্ষেপ, বাড়ির চালের টিন, বিদ্যুৎের মিটার, গেটের তালা ও ঘরের দেওয়াল ভাঙচুর করতে থাকে। মছিয়ার মোল্লা ও তোফাজ্জেল মোল্লার বাড়িতেও হামলা চালায় দূবৃর্ত্তরা। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মেম্বার স্বরুপজান খাতুন বলেন, ইউপি মেম্বার সদস্য শওকত বিশ্বাসের ছেলে ফয়সাল বিশ্বাস নিজে দাড়িয়ে থেকে তার লোকজন দিয়ে আমার বাড়ি ও পাশের দুই বাড়িতে হামলা চালায়।
ঘটনার এ বিষয় সম্পর্কে ফয়সাল বিশ্বাস প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে জানান, মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাইদের সাথে জমি নিয়ে সমস্যা ছিলো। তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মহিষাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া মজিদ বিশ্বাসের বাড়িতে ইফতার মাহফিলে ছিলাম এবং ঘটনার আধাঘন্টা পর আসি ও ওসি সাহেবকে ফোন করে বিস্তারিত ঘটনার কথা বলি।
এ বিষয়ে ১ নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফত মোল্লা বলেন,  ফয়সাল বিশ্বাসের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন নিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমি প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা ও হামলা কারীদের বিচার চাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিরাপত্তার জন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শেষ সংবাদ হলো বক্কার, গোলাম নবী ও লিয়াকত পিং- মৃত বারিক বিশ্বাস তিন ভাই মিলে চৌকিদার ছমির আলীর সহায়তায় পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা

error: Content is protected !!

মাগুরা মহিষাডাঙ্গায় ইউপি মেম্বর স্বরুপজান খাতুনের বাড়ি ঘর সহ দোকান ভাঙচুর

আপডেট টাইম : ০১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাঃ :
মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা গ্রামে জাম গাছ কে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ও বাজারের দোকান ভাঙচুর। গত শুক্রবার ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭.২৫ টার সময় মহিষাডাঙ্গা বাজারে রসুলের চা এর দোকানে বক্কার বিশ্বাসের ছেলে মহব্বত বিশ্বাস তার চাচা খলিল বিশ্বাস কে ঝড়ে জাম গাছ পড়ার কথা বলে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে মৃত বারিক বিশ্বাসের জমিতে একটা বড় জাম গাছ পড়ে বিদ্যুৎের তিনটি তার ছিড়ে যায় এবং খলিল ডাল-পাতা দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। এ জন্য  রাস্তার পথ সঠিকভাবে চলাচল করার জন্য বক্কার বিশ্বাস ছেলেদের নিয়ে পড়ে যাওয়া গাছটিকে সরিয়ে রাখে। এই জাম গাছের ডাল ও পাতা কেন সরালো এর জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
গত কাল সন্ধ্যার পর মহিষাডাঙ্গা বাজারে মহব্বত বিশ্বাস তার চাচা কে বলেন, চাচা চলেন জাম গাছের বিষয়টি নিয়ে পাশে চা এর দোকানে বসি। তখন হঠাৎ করে ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শওকত বিশ্বাসের ছেলে ফয়সাল বিশ্বাস এসে বলে খলিল বিশ্বাস আমার দলের লোক। তখন তোফাজ্জেল এসে আরজেন বিশ্বাস ও ফয়সাল বিশ্বাস করে বলে তারা দুজন চাচা-ভাতিজা কথা বলছে তোমাদের সমস্যা কি। এরপরই বিল্লাল বিশ্বাস পিং- মখলেজ মাস্টার বাজারে পরপর ৩ টা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করে। তারপর ফয়সালের শতাধিক লোকজন বাজারের সেলিম হোটেল, লোকমান হোটেল, হেলাল মোবাইল সেন্টার, শাহারুলের চা এর দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন বাজুস ফরিদপুর জেলা শাখার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত
এ সময়ে সংঘবদ্ধ লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও আধলা ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ফয়সালের দলের  লোকজন ইউপি মহিলা মেম্বার সদস্য স্বরুপজান খাতুনের বাড়িতে ইট নিক্ষেপ, বাড়ির চালের টিন, বিদ্যুৎের মিটার, গেটের তালা ও ঘরের দেওয়াল ভাঙচুর করতে থাকে। মছিয়ার মোল্লা ও তোফাজ্জেল মোল্লার বাড়িতেও হামলা চালায় দূবৃর্ত্তরা। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মেম্বার স্বরুপজান খাতুন বলেন, ইউপি মেম্বার সদস্য শওকত বিশ্বাসের ছেলে ফয়সাল বিশ্বাস নিজে দাড়িয়ে থেকে তার লোকজন দিয়ে আমার বাড়ি ও পাশের দুই বাড়িতে হামলা চালায়।
ঘটনার এ বিষয় সম্পর্কে ফয়সাল বিশ্বাস প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে জানান, মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাইদের সাথে জমি নিয়ে সমস্যা ছিলো। তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মহিষাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়া মজিদ বিশ্বাসের বাড়িতে ইফতার মাহফিলে ছিলাম এবং ঘটনার আধাঘন্টা পর আসি ও ওসি সাহেবকে ফোন করে বিস্তারিত ঘটনার কথা বলি।
এ বিষয়ে ১ নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফত মোল্লা বলেন,  ফয়সাল বিশ্বাসের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন নিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমি প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা ও হামলা কারীদের বিচার চাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিরাপত্তার জন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শেষ সংবাদ হলো বক্কার, গোলাম নবী ও লিয়াকত পিং- মৃত বারিক বিশ্বাস তিন ভাই মিলে চৌকিদার ছমির আলীর সহায়তায় পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

প্রিন্ট