কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রেমের জেরে রায়হান (২৭) নামের এক দিনমজুরকে হত্যা মামলায় একজনকে আমৃত্যু ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দাযরা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি শিখা খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬০), মান্নানের ছোট ভাই সাদু সরদার (৪৬), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাজুল সরদার, মৃত শওকত সরদারের ছেলে বজলু সরদার ওরফে বজু এবং রাজন আলীর স্ত্রী আজমিরা খাতুন (৩২)। আমৃত্যু ও যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তদের সবাই ভুরকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে পাউবো’র জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ
আদালত সূত্র জানায়, আসামি শিখার সঙ্গে ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ খন্দকার পাড়া এলাকার মীর শহীদুলের ছেলে রায়হানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্ক শিখার পরিবার মেনে না নেওয়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর রাতে রায়হানকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় শিখা। ওই রাতেই আসামিরা রায়হানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যা করে লাশ গুম করে।
পরদিন ৭ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ পালপাড়া থেকে রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৯ অক্টোবর নিহতের বাবা মীর শহীদুল আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় এজাহার করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ১৩ এপ্রিল রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
প্রিন্ট