ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ভাষাণচর ইউনিয়নের মধু মন্ডলের ডাঙ্গী গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনটি হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে । জানাযায়, একই এলাকার প্রভাবশালী সেকেন্দার দীর্ঘদিন যাবত শ্যামল কুমার মন্ডল ও পরিমল চন্দ্র বিশ্বাস গং দের ৭৭ শতাংশ জমি দখলে নেওয়ার পায়তার কারছে।
ঘটনাটি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান পূর্বে মাটিকাটা বাধা দেয় ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ করার দায়ে ভূমি ব্যাবস্থাপনা আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। পরে ফসলি জমিতে বেকু দিয়ে মাটি না কাটার ও দখল মুক্ত করার মরুসলেকা দিয়ে ছাড় পায়। বর্তমানে সহকারী কমিশনার ভূমি ছুটিতে যাওয়ার সুযোগে গত ৩১ মার্চ থেকে পুনরায় ওই জমি মাটি কাটছে এবং দখলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে থানা-পুলিশ হস্তক্ষেপ করলেও প্রশাসনকে বিধ্যাঙ্গলী দেখিয়ে কোন বাধাই তারা মানছে না।
প্রতিপক্ষ সেকেন্দার শেখ ফসলি জমি ও গাছপালা কত্তন করে হিন্দু পরিবারটির জমি দখলের দারপ্রন্তে। অসামীরা মাটি কাটার অভিযোগে সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্দেশ মোতাবে জরিমানা দিয়েছে অথচ ফরিদপুর সহকারি যুগ্ন জজ অদালতে উল্টো লিখিত জবানবন্দিতে বলেছে মাটি বাদি পক্ষ কেটেছে। এ ঘটনা নিয়ে তিনটি হিন্দু পরিবার চরম রিাপত্তায় ভুগছে। জমিতে গেলেই তাদের মারপিটের হুমকি দিচ্ছে সেকেন্দারের লাঠিয়াল বাহিনী।
দেওয়ানী ১১৪/২২ইং মামলার বিবরণী ও সরেজমিনে তথ্যসংগ্রহকালে জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের ২০নং চরদুর্গাপুর মৌজার মধুমন্ডলের ডাঙ্গী গ্রামের এস্এ ৩৪৪ ও ৩৪৬ দাগে জমি ৯১ শতাংশ, বিএস ৪২৩নং খতিয়ানে ৯১ শতাংশ জমি বহাল রয়েছে। এস এ খতিয়ানে নিমচাঁদ মন্ডল রেকর্ডীয় সত্তবান সে জিবীত অবস্থায় বিএস খতিয়ানে সত্ববহাল আছে। তার পুত্র পরেশ চন্দ্র মন্ডল চতুরতার মাধ্যমে রেকর্ড করে মাত্র ১৩শতাংশ জমি রেকর্ড নিয়ে বিক্রি করে ৭৭ শতংশ জমি সেকেন্দার শেখকে ৩২৪ দগের ৭৭ শতাংশ জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যান্য সরিকদের সম্পূর্ণ জমি জোরপুর্বক দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অভিযুক্ত সেকেন্দার শেখে সাংবাদিকদের জানায়, ওই জমি আমার ক্রয়কৃত সম্পদ । আমার জমি আমিই দখলে নিচ্ছি। এব্যাপাওে সদরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম। পুনরায় মাটি কাটার সংক্রান্ত বিষয়ে আমি অবগত নই।
প্রিন্ট