আরটিভি’র রিয়েলিটি শো বাংলার গায়েন প্রতিযোগিতায় পাবনার চাটমোহরের সন্তান রাসেল মৃধা (২৮) এখন অবস্থান করছেন সেরা ১২ তে। নিজের মেধা, কন্ঠ দিয়ে জয় করেছেন বিচারকদের মন। তার একের পর এক গানে মুগ্ধ দর্শকরাও।
সেরা ১২ থেকে শুরু হচ্ছে দর্শকদের এসএমএস পর্ব। অর্থাৎ এবার বিচারকের নাম্বারের সাথে দর্শকদের এসএমএস যোগ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে প্রতিযোগিকে। তাই সেরা গায়েন নির্ধারণে অন্যতম ভূমিকা রাখবে এসএমএস। আগামী ৫ ও ৬ জানুয়ারি যথাক্রমে মঙ্গল ও বুধবার আরটিভিতে রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত শুরু হবে সেরাদের সেরা হওয়ার লড়াই। তাই চাটমোহরের সন্তানের গান দেখতে এই দুইদিন চোখ রাখতে হবে আরটিভির পর্দায়। আর সেদিন থেকেই শুরু এসএমএস পর্ব। এসএমএস করে রাসেলকে এগিয়ে নিতে পারেন আপনিও। কিভাবে, কত নাম্বারে এসএমএস করতে হবে সেটা জানতে চোখ রাখুন আগামী মঙ্গল ও বুধবার আরটিভিতে রাত আটটায়।
রাসেল মৃধা কে সেরা গায়েনের পথে এগিয়ে নিতে করণীয় বিষয়ে রোববার (০৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পৌর সদরের শাহী মসজিদ মোড়ে শাহী ফুড কর্ণারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি রেজাউল করিম পলাশের সঞ্চালায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মান্নান পলাশ, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি রকিবুর রহমান টুকুন, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু, সেবা ট্রেডিং এজেন্সীর স্বত্ত্বাধিকারী ও সেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ (মামুন), শিক্ষক সাংবাদিক এম এ জিন্না, সাংবাদিক শাহীন রহমান, পবিত্র তালুকদার, আব্দুল লতিফ রঞ্জু, নুরুল ইসলাম মাস্টার, শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, মাসুদ রানা, শেখ সালাহউদ্দিন ফিরোজ, তোফাজ্জল হোসেন বাবু, সঞ্জিত চক্রবর্তী সোনা। সেরা গায়েন প্রতিযোগিতার সেরা ১২ তে অবস্থানকারী প্রতিযোগি চাটমোহরের সন্তান রাসেল মৃধা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। রাজশাহী বিভাগ থেকে একমাত্র চাটমোহরের রাসেল ই টিকে আছে এখন পর্যন্ত। সেরা ১২ থেকে তাকে সেরা গায়েন হিসেবে দেখতে চাটমোহরবাসী তথা পাবনা জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে রাসেলকে এগিয়ে নেবার আহবান বার্তা। এক্ষেত্রে মানুষ দেশ ও দেশের বাইরে যে যেখানে আছেন সবার সহযোগিতা নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় সভায়।
উল্লেখ্য, চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রামের মৃত সবুর আলী মৃধা ও মোছাঃ মঞ্জুয়ারা বেগমের ছেলে রাসেল মৃধা। ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সবার ছোট রাসেল। তার জন্মের ৬ বছর পর থেকে মা মঞ্জুয়ারা বেগম চোখের দৃষ্টি শক্তি হারান। টানাটানির সংসারে গানটাকে সবসময় ভালবেসে গেছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তার ঝোঁক। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার অনুষ্ঠানে তার গান মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
প্রিন্ট