পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের কুবিরদিয়ার গ্রামে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের চলাচলের সরকারি রাস্তা স্থানীয়ভাবে দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রামবাসী প্রাচীর নির্মানে বাধা দেওয়ায় তাদেরকেও হুমকী ধামকী দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।রাস্তা দখলমুক্ত করতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর গ্রামবাসী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মূলগ্রাম ইউনিয়নের কুবিরদিয়ার গ্রামের মৃত আব্দুস সবুর শেখের ছেলে আব্দুর রশিদের সহায়তায় ছোট ভাই বউ শাহনাজ একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটি তাদের পৈত্রিক জায়গায় নির্মাণ করা হলেও বাড়ির সামনের সরকারি ৮/১০ ফুট রাস্তা দখলে নিয়ে পাকা করে প্রাচীর দিয়ে দখল করতে থাকেন। এ সময় ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী গ্রামবাসী সরকারি রাস্তাদখল থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করলে কাজ একদিন বন্ধ রাখে। পরে তাদের কথায় কর্ণপাত না করে শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে থেকে দ্রুত প্রাচীর নির্মাণ করেন।
কয়েকজন গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা জবরদখল করে প্রাচীর দিয়ে দিয়েছে। আমরা কয়েকজন গ্রামবাসী মূলগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদারকে মৌখিকভাবে বলেছি, তিনিও কোন কর্ণপাত করেননি। গত বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে । অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন প্রতিকার মিলছে না বলে দাবি স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ বলেন, আমার ছোট ভাই মারা গেছেন। তার স্ত্রী অসহায় মানুষ। আমার সাথে পূর্বশত্রুতার জেরে গ্রামের কিছু মানুষ অভিযোগ দিয়ে হয়রানীর অপচেষ্টা করছে। তবে তিনি স্বীকার করেন প্রাচীরের কিছু অংশ রাস্তার মধ্যে পড়েছে। এতে চলাচলের কোনো অসুবিধা হবে না গ্রামবাসীর। ভুমি অফিসের লোক এসে দেখে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মূলগ্রাম ইউনিয়ন সহকারি ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী আমাকে অবহিত করলে আমি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মহোদ্বয়কে অবহিত করেছি। তিনি মূলত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোছা: তানজিনা খাতুন জানান, গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। যদি সরকারী জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়ে থাকে তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রিন্ট