রাজবাড়ী জেলার পাংশায় গত শুক্রবার ১ জানুয়ারী দুপুর পৌণে দুইটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষকসহ দুইজন নিহত এবং অটোবাইকের চালকসহ আহত হয়েছেন চারজন। রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশার মৈশালা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মত্তিডাঙ্গী মোড় নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, পাংশা বাজার থেকে ব্যাটারীচালিত অটোবাইকটি যাত্রী নিয়ে মৈশালা বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে মত্তিডাঙ্গী মোড়ে হাইরোডে উঠার সময় রংপুর থেকে বরিশালগামী বিআরটিসি পরিবহনের ধাক্কা লেগে অটোবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। বিআরটিসি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৫৪৯৩) ধাক্কায় অটোবাইকের যাত্রী গুরুতর আহত আব্দুল মালেক (৭০) শুক্রবার দুপুরে পাংশা হাসপাতালে এবং স্কুল শিক্ষিকা নাসিমা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নাসিমা খাতুনের বাড়ী পাংশা পৌরসভার মৈশালা গ্রামে। তিনি পাংশা উপজেলার যশাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে বই বিতরণ করে বাড়ী ফিরছিলেন তিনি। সড়ক দুর্ঘটনায় অপর নিহত বৃদ্ধ আব্দুল মালেকের বাড়ী কালুখালী উপজেলার বিশই সাওরাইল গ্রামে।
দুর্ঘটনায় অপর আহতরা হলেন, কালুখালীর বিশই সাওরাইল গ্রামের ইমান আলীর ছেলে অটোবাইক চালক মিজানুর রহমান (৫০), একই গ্রামের ঝন্টু মন্ডলের স্ত্রী শাবানা (৩৫) ও শৈলকুপা থানার মালিথিয়া গ্রামের চিত্ত রঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে বিপুল কুমার বিশ্বাস (৩০)। হতাহতরা সবাই অটোবাইকে ছিলেন।
অটোবাইক চালক মিজানুর রহমান বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা পাংশা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন বলে পাংশা হাসপাতাল সূত্র জানায়।
এদিকে, পাংশা হাইওয়ে থানা পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোবাইক হেফাজতে নিয়েছে।
প্রিন্ট