রাজবাড়ী জেলার পাংশায় শুক্রবার ১ জানুয়ারী দুপুর পৌণে দুইটার দিকে বিআরটিসি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৫৪৯৩) ধাক্কায় অটোবাইকের চালক মিজানুর রহমান ও অটোবাইকের ৩জন যাত্রী গুরুতর আহত এবং ১জন নিহত হয়েছেন। রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশার মৈশালা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মত্তিডাঙ্গী মোড় নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মালেক (৭০)। তার বাড়ী কালুখালী উপজেলার বিশই সাওরাইল গ্রামে। আহতরা হলেন, পাংশা পৌরসভার মৈশালা গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা নাসিমা খাতুন (৩৫), কালুখালীর বিশই সাওরাইল গ্রামের ইমান আলীর ছেলে অটোবাইক চালক মিজানুর রহমান (৫০), একই গ্রামের ঝন্টু মন্ডলের স্ত্রী শাবানা (৩৫) ও শৈলকুপা থানার মালিথিয়া গ্রামের চিত্ত রঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে বিপুল কুমার বিশ্বাস (৩০)। হতাহতরা সবাই অটোবাইকে ছিল।
জানা যায়, পাংশা বাজার থেকে ব্যাটারীচালিত অটোবাইকটি যাত্রী নিয়ে মৈশালা বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে মত্তিডাঙ্গী মোড়ে হাইরোডে উঠার সময় রংপুর থেকে বরিশালগামী বিআরটিসি পরিবহনের ধাক্কা লেগে অটোবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় অটোবাইক চালকসহ ৫জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের পাংশা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনসহ সঙ্গীয় পুলিশ এবং পাংশা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পাংশা হাইওয়ে থানা পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত অটোবাইক ও বিআরটিসি পরিবহনটি হেফাজতে নেয়।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ আব্দুল মালেক মারা যান। এছাড়া পাংশা হাসপাতাল থেকে রেফার করায় গুরুতর আহত যশাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা ও অটোবাইক চালক মিজানুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। পাংশা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌরভ দেবনাথ ও এসএসিএমও আসাদুজ্জামান সুমন হতাহতদের চিকিৎসা প্রদান করেন।
প্রিন্ট