ঘর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঘরের জমিও দিয়েছেন তিনি। সেই ঘর আর আঙ্গিনায়ে ফুলের সৌরভ আর ফলের সুবাস ছড়িয়ে; লাউ আর পুইঁশাকের লকলকে ডগা ঘরের চালায় আস্তে আস্তে ছাপিয়ে উঠছে। ফুল আর ফলের সুগন্ধে মোহিত হয়ে ঘরের বাসিন্দা নবীরুন নেছা আর মনিমালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাৎক্ষনিক সম্মাননা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। ঘঠনাটি জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমদি এলাকায়।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত জমিসহ ঘরের একটি পজিশন পেয়েছেন নবীরুন নেছা, আরেকটি পজিশন পেয়েছেন মনিমালা। ঘরের সামনে এক চিলতে উঠোনও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ঘর পেয়ে নিজের মনের মতো করে সাজিয়েছেন তারা। উঠোনের এক কোনে রোপন করেছেন গাঁদা ফুলের গাছ, সে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে নয়নাভিরাম সুগন্ধি গাঁদা ফুল। রোপন করেছেন ফলের গাছ।
ঘরের এক সাইডে রোপন করেছেন লাউয়ের গাছ, রোপন করেছেন পুঁইশাকও। শুধু ফুল, ফল আর সব্জি ই নয়; ঘরের পরিচ্ছন্নতায়ও তাদের রয়েছে সদা সজাগ মানসিকতা। প্রতিদিনই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন তাদের বসত ঘর। দু’চার দিন পরপরই আঙ্গিনায় প্রলেপ দিয়ে ঝকঝকে করে রাখেন।
সোমবার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের খোঁজখবর নেয়া এবং শীত নিবারক বস্ত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বাসিন্দাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের বর্তমান হালচাল শোনেন। এসময়ই তার নজরে পড়ে সবচেয়ে গোছানো পরিপাটি ফুল-ফল আর সব্জির চাষাবাদের সুন্দর দুটি গৃহ। একটি নবীরুন নেছার আর একটি মনিমালার গৃহ। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া গৃহ দুটির সদ্ব্যবহার করায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে তাদের প্রতি খুশি হয়ে প্রত্যেককে ১ হাজার করে টাকা সম্মানী প্রদান করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাসুদুল আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য ফরিদপুর জেলার 9 উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় চার হাজার দুঃস্থ পরিবারের মাঝে এভাবেই এ ঘর বিতরণ করা হয়।