ফরিদপুরের সালথা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি খন্দকার শাহিনুজ্জামান শাহিন(৪০) কে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্র্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শাহিন উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বল্লভদী গ্রামের মৃত খন্দকার আলীর ছেলে। এ ঘটনায় সজিব নামের আরেক যুবককে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সজিব স্থানীয় ইউপি সদস্য হবি মোল্যার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বল্লভদী ইউনিয়নের বাউষখালী বাজার থেকে শাহিন বাড়ি ফেরার পথে কুন্ডুপাড়া দুলাল কাজীর বাড়ির সামনে পৌছালে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। মোটরসাইকেল থেকে তাকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শাহিনের দুই পায়ে অন্তত ১০টি কোপের চিহ্ন রয়েছে।
শাহিনের স্বজনরা জানায়, আগামী ইউপি নির্বাচনে শাহিন বল্লভদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আগাম প্রচার-প্রচারনা শুরু করে। এরপর থেকেই প্রতিপক্ষের আরও একটি গ্রæপ ক্ষিপ্ত হয়। এর আগেও কয়েক দফা হামলা চেষ্টা চালানো হয়েছে শাহিনের উপর। একই এলাকার অন্য আরও একটি শক্তিশালী গ্রæপের লোকজনই শাহিনকে কুপিয়েছে বলে দাবী করেন তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। ততক্ষণে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আমি নিজে গিয়েছিলাম। ডাক্টারদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, শাহিনের দুই পায়ের এমনভাবে কুপানো হয়েছে যে হাড্ডি পর্যন্ত কেটে গেছে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পঙ্গুতে পাঠানো হয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদের আটক করতে ওই এলাকায় গতরাতেই অভিযান চালানো হয়েছে। সবাই পালাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভাব হয়নি।
প্রিন্ট