ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় যুবকরা ট্যাপেন্টা খেয়ে নেশা করছে, দেখার কেউ নেই !

-ছবিঃ প্রতীকী।

ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজার পাশাপাশি এবার নেশার রাজ্যে যুক্ত হয়েছে ট্যাপেন্টা ও  ঘুমের ট্যাবলেট। কুষ্টিয়ায় যুবকরা ট্যাপেন্টা খেয়ে অবাধে নেশা করছে। এব্যাপারে দেখার কেউ নেই।

কুষ্টিয়া শহর সহ গ্রামের অলিতে গলিতে ফার্মেসী গুলোতে চলছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রির রমরমা ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঔষধ বিক্রির অন্তরালে নেশাজাতীয় ট্যাপেন্টা, ইনজেকশন ও ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রয় করছে । অধিক মুনাফা লাভের আশায় তারা এমনটা করছে বলে জানিয়েছে।

বিভিন্ন ধরণের ঘুমের ট্যাবলেট মাদক সেবীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেশার ক্ষেত্রে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিকার নিতে তেমন ভূমিকা  রাখছেনা।

রাত বাড়ার সাথে সাথে ভেড়ামারা রেলওয়ে ষ্টেশনে, স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডের সামনে ও বিভিন্ন ফার্মেসীগুলোর সামনে উঠতি বয়স্ক তরুনদের আনাগোনা বেড়ে গেছে।

ডাঃ নূরুল আমীন ও সাজেদুল ইসলাম জানান, এইসব ট্যাপেন্টা ও ঘুমের ঔষধ গুরুতর অসুস্থ্য, দুর্ঘটনায় আহত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ লোকজনের ঘুমের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।

এইসব ঔষধ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও অতি মুনাফার আশায় বিক্রি করছে কিছু অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা। আর এই সুযোগ নিচ্ছে উঠতি বয়েসের যুবকরা মাদক হিসেবে প্রতিনিয়ত খেয়ে ঘুমে টাল হয়ে থাকছে। বিপথগামী স্কুল পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া তরুণ সমাজ আজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে মাদকরুপী ট্যাপেন্টা ও ঘুমের ঔষধের কারনে। যা দেখার কেউ নেই!

কয়েকজন নেশাখোর রাতে এক হয়ে আশে পাশের লোকজনদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা, ঘড়ি ও মোবাইল ছিনতাই করে বলেও জানা যায়।
ইয়াবাসেবীদের কাছে এখন এসকেএফ ওষুধ কোম্পানির ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। বাজারে এ ট্যাবলেটটির দাম হু হু করে বেড়ে উঠেছে।

বর্তমানে ৫০ মিলিগ্রাম একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৫০ থেকে ৭০ টাকা এবং ১০০ মিলিগ্রাম একটি ট্যাবলেটের মূল্য ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার কোম্পনি মূল্য ৫০ মিলিগ্রাম প্রতি ট্যাবলেটের দাম ১২ টাকা এবং ১০০ মিলিগ্রাম প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ২২ টাকা।

একাধিক সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসেবনকারীরা ইয়াবা ট্যাবলেট চোরাই পথে নিয়ে এসে নেশা হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু বাজারে এর চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রশাসনের নজরদারি বেশি হওয়ায় ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে সেবনকারীদের নেশার মাত্রা বেড়ে যায়। এরই সুযোগে এক ধরনের নেশায় আসক্তরা ওষুধ কোম্পানি এসকেএফ লিমিটেডের ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটটি নেশা হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। তারা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে এখন এ ট্যাবলেট সেবন করছেন।

প্রেসসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি গুলোতে এমন অবাধ উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি হওয়ায় সচেতন মহল ও অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় যুবকরা ট্যাপেন্টা খেয়ে নেশা করছে, দেখার কেউ নেই !

আপডেট টাইম : ০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজার পাশাপাশি এবার নেশার রাজ্যে যুক্ত হয়েছে ট্যাপেন্টা ও  ঘুমের ট্যাবলেট। কুষ্টিয়ায় যুবকরা ট্যাপেন্টা খেয়ে অবাধে নেশা করছে। এব্যাপারে দেখার কেউ নেই।

কুষ্টিয়া শহর সহ গ্রামের অলিতে গলিতে ফার্মেসী গুলোতে চলছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রির রমরমা ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঔষধ বিক্রির অন্তরালে নেশাজাতীয় ট্যাপেন্টা, ইনজেকশন ও ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রয় করছে । অধিক মুনাফা লাভের আশায় তারা এমনটা করছে বলে জানিয়েছে।

বিভিন্ন ধরণের ঘুমের ট্যাবলেট মাদক সেবীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেশার ক্ষেত্রে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিকার নিতে তেমন ভূমিকা  রাখছেনা।

রাত বাড়ার সাথে সাথে ভেড়ামারা রেলওয়ে ষ্টেশনে, স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডের সামনে ও বিভিন্ন ফার্মেসীগুলোর সামনে উঠতি বয়স্ক তরুনদের আনাগোনা বেড়ে গেছে।

ডাঃ নূরুল আমীন ও সাজেদুল ইসলাম জানান, এইসব ট্যাপেন্টা ও ঘুমের ঔষধ গুরুতর অসুস্থ্য, দুর্ঘটনায় আহত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ লোকজনের ঘুমের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।

এইসব ঔষধ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও অতি মুনাফার আশায় বিক্রি করছে কিছু অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা। আর এই সুযোগ নিচ্ছে উঠতি বয়েসের যুবকরা মাদক হিসেবে প্রতিনিয়ত খেয়ে ঘুমে টাল হয়ে থাকছে। বিপথগামী স্কুল পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া তরুণ সমাজ আজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে মাদকরুপী ট্যাপেন্টা ও ঘুমের ঔষধের কারনে। যা দেখার কেউ নেই!

কয়েকজন নেশাখোর রাতে এক হয়ে আশে পাশের লোকজনদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা, ঘড়ি ও মোবাইল ছিনতাই করে বলেও জানা যায়।
ইয়াবাসেবীদের কাছে এখন এসকেএফ ওষুধ কোম্পানির ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। বাজারে এ ট্যাবলেটটির দাম হু হু করে বেড়ে উঠেছে।

বর্তমানে ৫০ মিলিগ্রাম একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৫০ থেকে ৭০ টাকা এবং ১০০ মিলিগ্রাম একটি ট্যাবলেটের মূল্য ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার কোম্পনি মূল্য ৫০ মিলিগ্রাম প্রতি ট্যাবলেটের দাম ১২ টাকা এবং ১০০ মিলিগ্রাম প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ২২ টাকা।

একাধিক সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসেবনকারীরা ইয়াবা ট্যাবলেট চোরাই পথে নিয়ে এসে নেশা হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু বাজারে এর চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রশাসনের নজরদারি বেশি হওয়ায় ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে সেবনকারীদের নেশার মাত্রা বেড়ে যায়। এরই সুযোগে এক ধরনের নেশায় আসক্তরা ওষুধ কোম্পানি এসকেএফ লিমিটেডের ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটটি নেশা হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। তারা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে এখন এ ট্যাবলেট সেবন করছেন।

প্রেসসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি গুলোতে এমন অবাধ উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি হওয়ায় সচেতন মহল ও অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।


প্রিন্ট