রাজবাড়ী জেলার পাংশা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান (৬৮) গত সোমবার ২৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের সময় পাংশা সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদরাসার পাশে নারায়নপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ্য ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। পাংশা সরকারী জর্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার দুপুর দুইটার সময় রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সের এএসআই সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুস সোবাহানের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পাংশার এসিল্যান্ড ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন, রাজবাড়ী-২ আসনের প্রাক্তন এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়া ও পাংশা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার চাঁদ আলী খানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ মরহুমের কফিন জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করেন এবং সরকারী কর্তকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ মরহুমের কফিনে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান মাস্টারের মরদেহ তার হাবাসপুর ইউপির চর হাবাসপুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়ীতে নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১১টার সময় হাবাসপুর কে.রাজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার প্রথমবার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন দুপুরে পাংশা সরকারী জর্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গার্ড অব অনারের পর সেখানে দ্বিতীয়বার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয়বার জানাজার নামাজের আগে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুস সোবাহান মাস্টারের শ্যালক, ঢাকার সিআইডির এসপি গোলাম বেনজীর পলাশ। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান মাস্টারের ছেলে নাহিন। দ্বিতীয়বার জানাজার নামাজ শেষে পাংশা পৌরসভার কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মরহুম আব্দুস সোবাহান মাস্টার ছিলেন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন আদর্শ শিক্ষক। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও পাঁচ কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
প্রিন্ট