ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুর সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি Logo শিশু তাহমিদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo যশোরে সজাগ’র কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহী জেলা ছাত্রদল নেতার পিতা বাচ্চু সরকারের দাফন সম্পন্ন Logo লালপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo হাতিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় আগে কেস লিকে নেন, তারপর লাশ তোলেন

আমি বিচার চাই। আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। আমি কেস করবো, আগে আমার কেসটা আগে লিকে নেন, তারপর লাশ তোলেন। কোনো আপত্তি নেই।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নিহত কুয়েট শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের কাছে এমন দাবি করেন তার বাবা শুকুর আলী।

শুকুর আলী অভিযোগ করে বলেন, আমি বলিছি এর আগে, কিন্তু যাতি পারিনি। আমাকে ফোন করেছিলো পুলিশ, অসুস্থ ছিনু তাই যেতে পারিনি। দুই একদিনের মধ্যেই যাওয়ার কথা হয়েছে। কেসটা হেয়া যাক, তারপর পুলিশ লাশ তুলুক বা যা করুক আমার কোনো আপত্তি নেই।

এদিকে, নিহত সেলিম হোসেনের বোন শিউলি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতা নিয়ে আমার ভাইকে মরধর করে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাইকে হয়তো কিছু খাইয়ে দিয়েছিলো। আমার ভাবি আমাদের কাছে এসব কথা গোপন করেছে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।

উল্লেখ্য, গত (৩০ নভেম্বর) বেলা ৩টায় মারা যান কুয়েট শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন (৩৮)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) পদে নিজের লোককে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ড. সেলিমকে চাপ দেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান। ঘটনার দিন দাপ্তরিক কক্ষে সাদমান নাহিয়ান ও তার অনুগতদের অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হন ড. সেলিম।

তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করে খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার। তিনি জানান, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে, পুলিশ কবর থেকে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে একই কবরে পুনরায় দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানা পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

দৌলতপুর সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় আগে কেস লিকে নেন, তারপর লাশ তোলেন

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :
আমি বিচার চাই। আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। আমি কেস করবো, আগে আমার কেসটা আগে লিকে নেন, তারপর লাশ তোলেন। কোনো আপত্তি নেই।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নিহত কুয়েট শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের কাছে এমন দাবি করেন তার বাবা শুকুর আলী।

শুকুর আলী অভিযোগ করে বলেন, আমি বলিছি এর আগে, কিন্তু যাতি পারিনি। আমাকে ফোন করেছিলো পুলিশ, অসুস্থ ছিনু তাই যেতে পারিনি। দুই একদিনের মধ্যেই যাওয়ার কথা হয়েছে। কেসটা হেয়া যাক, তারপর পুলিশ লাশ তুলুক বা যা করুক আমার কোনো আপত্তি নেই।

এদিকে, নিহত সেলিম হোসেনের বোন শিউলি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতা নিয়ে আমার ভাইকে মরধর করে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাইকে হয়তো কিছু খাইয়ে দিয়েছিলো। আমার ভাবি আমাদের কাছে এসব কথা গোপন করেছে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।

উল্লেখ্য, গত (৩০ নভেম্বর) বেলা ৩টায় মারা যান কুয়েট শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন (৩৮)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) পদে নিজের লোককে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ড. সেলিমকে চাপ দেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান। ঘটনার দিন দাপ্তরিক কক্ষে সাদমান নাহিয়ান ও তার অনুগতদের অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হন ড. সেলিম।

তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করে খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার। তিনি জানান, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে, পুলিশ কবর থেকে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে একই কবরে পুনরায় দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানা পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার।


প্রিন্ট