জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানা আদায় করতে গিয়ে পাবনার বেড়া পৌর এলাকায় তিন প্রতারককে আটক করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে বেড়া বাজারের শাপলা-শালুক নামের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্ট থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
বেড়া থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে রোববার সকাল ১১টার দিকে আবির হোসেন (২৯) নামের এক ব্যক্তি নিজেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক পরিচয় দিয়ে দুই সঙ্গীসহ বেড়া থানায় উপস্থিত হন। তাঁরা বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকারের কাছে দেখা করে বাজার মনিটরিং করার জন্য পুলিশ রিক্যুইজিশন চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। এতে থানা থেকে চারজন পুলিশ দেওয়া হলে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে বেড়া বাজারের বিভিন্ন দোকানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নামে অভিযান চালাতে থাকেন।
এ সময় তাঁরা গোধুলি স্ইুটস এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে ৩৫ হাজার টাকা ও শাপলা-শালুক রেস্টুরেন্ট থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এ ছাড়া অন্যান্য দোকানেও জরিমানা আদায়ের চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু তাঁদের এ কর্মকান্ড নিয়ে ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হলে তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক ও বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান।
খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁদেরকে শাপলা-শালুক রেস্টুরেন্টে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাবনা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওই ব্যক্তিদের পরিচয় ভুয়া বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। তখন ওই স্থান থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও ৩৮তম বিসিএসের কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া আবির হোসেন মিম (২৯), অফিস সহকারী বলে পরিচয় দেওয়া মেহেদী হাসান সেতু (২৭) ও আজিজুল হক (২৫) নামের তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘পুলিশ রিক্যুইজিশন চেয়ে আবেদন করায় আমি প্রথমে পুলিশ দিলেও বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে থাকি। পরে সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রিন্ট