ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি Logo দৌলতপুরে থানার সামনে স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি Logo শ্রেণিকক্ষে পানিঃ দৌলতপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা Logo সারাদেশে এনসিপির সাড়া দেখে বলা হচ্ছে নিবন্ধনের কাগজে ঝামেলা আছেঃ -হান্নান মাসউদ Logo মাদারিপুরে দু’টি বাস-পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬ Logo প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার মজলিস Logo ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিক্ষোভ Logo গোমস্তাপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু Logo চরভদ্রাসনে টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন ভ্যান-রিকশাচালকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ Logo বাগাতিপাড়ায় লোকালয়ে দেখা মিললো বিরল কালো মুখ হনুমানের
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নগরকান্দায় ৪০ বছর ধরে কান পরিস্কার করে চলেছেন সৈয়দ আলী

বয়স তার ষাট। চল্লিশ বছর যাবত মানুষের কান পরিস্কার করে চলেছেন। নাম সৈয়দ আলী ভূইয়া। সে ফরিদপুরের নগরকান্দার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের মাঠ বালিয়া গ্রামের মৃত্যু বারেক ভূইয়ার ছেলে।

নগরকান্দা সদর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে মানুষের কান পরিস্কার করা তার পেশা। স্ত্রী, ৩ ছেলে ৪ মেয়ে নিয়ে সংসার তার। প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে কান পরিস্কার করে যে টাকা রোজগার করেন তা দিয়েই চলে তার সংসার। সংসারে অভাব অনটনে লেখাপড়া তেমন করতে পারেনি সৈয়দ আলী। ১৫ বছর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে গ্রামে ঘুরে ঘুরে চুড়ী ফিতা বিক্রি শুরু করেন। এক পর্যায়ে রংপুর জেলায় গিয়ে অবস্থান নেয়।

১৯৭৯ সালে সেখানে আব্দুল মজিদ মিয়া নামে এক কলেজ শিক্ষকের নিকট থেকে শিখে নেন এই পেশা। সেখানে ঐ ব্যক্তির নিকট ৩ বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন মানুষের কান পরিস্কার করা। সেই থেকে এ পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দ আলী। ১৮/২০ বছর হলো নিজ এলাকায় এসে একই পেশা শুরু করেন।

নগরকান্দা সদর বাজারে কথা হয় সৈয়দ আলী ভূইয়ার সাথে। তিনি জানান, এ পেশা চালিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চার শত টাকা রোজগার করেন। জমি-জমার মধ্যে আছে বাবার ভাগের আড়াই শতক বাড়ীর জমি। সেখানেই ছোট্ট একটি দোচালা ঘর তুলে বসবাস করছেন। চার মেয়েই বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামীর সংসার করছে। দুই ছেলে বিয়ে করে তাদের সংসার শুরু করেছেন। কিন্তু কোন বসত ঘর না থাকায় একটি ছোট ভাঙ্গা ঘরে সবাই মিলে বসবাস করছে। ছোট্ট ছেলে বিপ্লব ভূইয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে লেখা পড়া করছে।

সৈয়দ আলী বলেন, বছর দশেক হলো হার্টের সমস্যায় ভূগছি। প্রতিদিন ৫৫ টাকার ওষুধ খেতে হয়। প্রতিদিন যা ইনকাম হয় তা দিয়ে সংসার চালিয়ে নিজের ওষুধ কিনতে হিমসিমে পড়তে হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি

error: Content is protected !!

নগরকান্দায় ৪০ বছর ধরে কান পরিস্কার করে চলেছেন সৈয়দ আলী

আপডেট টাইম : ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
বোরহানুজ্জামান আনিস, স্টাফ রিপোর্টারঃ :

বয়স তার ষাট। চল্লিশ বছর যাবত মানুষের কান পরিস্কার করে চলেছেন। নাম সৈয়দ আলী ভূইয়া। সে ফরিদপুরের নগরকান্দার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের মাঠ বালিয়া গ্রামের মৃত্যু বারেক ভূইয়ার ছেলে।

নগরকান্দা সদর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে মানুষের কান পরিস্কার করা তার পেশা। স্ত্রী, ৩ ছেলে ৪ মেয়ে নিয়ে সংসার তার। প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে কান পরিস্কার করে যে টাকা রোজগার করেন তা দিয়েই চলে তার সংসার। সংসারে অভাব অনটনে লেখাপড়া তেমন করতে পারেনি সৈয়দ আলী। ১৫ বছর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে গ্রামে ঘুরে ঘুরে চুড়ী ফিতা বিক্রি শুরু করেন। এক পর্যায়ে রংপুর জেলায় গিয়ে অবস্থান নেয়।

১৯৭৯ সালে সেখানে আব্দুল মজিদ মিয়া নামে এক কলেজ শিক্ষকের নিকট থেকে শিখে নেন এই পেশা। সেখানে ঐ ব্যক্তির নিকট ৩ বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন মানুষের কান পরিস্কার করা। সেই থেকে এ পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দ আলী। ১৮/২০ বছর হলো নিজ এলাকায় এসে একই পেশা শুরু করেন।

নগরকান্দা সদর বাজারে কথা হয় সৈয়দ আলী ভূইয়ার সাথে। তিনি জানান, এ পেশা চালিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চার শত টাকা রোজগার করেন। জমি-জমার মধ্যে আছে বাবার ভাগের আড়াই শতক বাড়ীর জমি। সেখানেই ছোট্ট একটি দোচালা ঘর তুলে বসবাস করছেন। চার মেয়েই বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামীর সংসার করছে। দুই ছেলে বিয়ে করে তাদের সংসার শুরু করেছেন। কিন্তু কোন বসত ঘর না থাকায় একটি ছোট ভাঙ্গা ঘরে সবাই মিলে বসবাস করছে। ছোট্ট ছেলে বিপ্লব ভূইয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে লেখা পড়া করছে।

সৈয়দ আলী বলেন, বছর দশেক হলো হার্টের সমস্যায় ভূগছি। প্রতিদিন ৫৫ টাকার ওষুধ খেতে হয়। প্রতিদিন যা ইনকাম হয় তা দিয়ে সংসার চালিয়ে নিজের ওষুধ কিনতে হিমসিমে পড়তে হয়।


প্রিন্ট