ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী ‌ ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগ ‌ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নগরকান্দায় ৪০ বছর ধরে কান পরিস্কার করে চলেছেন সৈয়দ আলী

বয়স তার ষাট। চল্লিশ বছর যাবত মানুষের কান পরিস্কার করে চলেছেন। নাম সৈয়দ আলী ভূইয়া। সে ফরিদপুরের নগরকান্দার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের মাঠ বালিয়া গ্রামের মৃত্যু বারেক ভূইয়ার ছেলে।

নগরকান্দা সদর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে মানুষের কান পরিস্কার করা তার পেশা। স্ত্রী, ৩ ছেলে ৪ মেয়ে নিয়ে সংসার তার। প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে কান পরিস্কার করে যে টাকা রোজগার করেন তা দিয়েই চলে তার সংসার। সংসারে অভাব অনটনে লেখাপড়া তেমন করতে পারেনি সৈয়দ আলী। ১৫ বছর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে গ্রামে ঘুরে ঘুরে চুড়ী ফিতা বিক্রি শুরু করেন। এক পর্যায়ে রংপুর জেলায় গিয়ে অবস্থান নেয়।

১৯৭৯ সালে সেখানে আব্দুল মজিদ মিয়া নামে এক কলেজ শিক্ষকের নিকট থেকে শিখে নেন এই পেশা। সেখানে ঐ ব্যক্তির নিকট ৩ বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন মানুষের কান পরিস্কার করা। সেই থেকে এ পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দ আলী। ১৮/২০ বছর হলো নিজ এলাকায় এসে একই পেশা শুরু করেন।

নগরকান্দা সদর বাজারে কথা হয় সৈয়দ আলী ভূইয়ার সাথে। তিনি জানান, এ পেশা চালিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চার শত টাকা রোজগার করেন। জমি-জমার মধ্যে আছে বাবার ভাগের আড়াই শতক বাড়ীর জমি। সেখানেই ছোট্ট একটি দোচালা ঘর তুলে বসবাস করছেন। চার মেয়েই বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামীর সংসার করছে। দুই ছেলে বিয়ে করে তাদের সংসার শুরু করেছেন। কিন্তু কোন বসত ঘর না থাকায় একটি ছোট ভাঙ্গা ঘরে সবাই মিলে বসবাস করছে। ছোট্ট ছেলে বিপ্লব ভূইয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে লেখা পড়া করছে।

সৈয়দ আলী বলেন, বছর দশেক হলো হার্টের সমস্যায় ভূগছি। প্রতিদিন ৫৫ টাকার ওষুধ খেতে হয়। প্রতিদিন যা ইনকাম হয় তা দিয়ে সংসার চালিয়ে নিজের ওষুধ কিনতে হিমসিমে পড়তে হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

নগরকান্দায় ৪০ বছর ধরে কান পরিস্কার করে চলেছেন সৈয়দ আলী

আপডেট টাইম : ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
বোরহানুজ্জামান আনিস, স্টাফ রিপোর্টারঃ :

বয়স তার ষাট। চল্লিশ বছর যাবত মানুষের কান পরিস্কার করে চলেছেন। নাম সৈয়দ আলী ভূইয়া। সে ফরিদপুরের নগরকান্দার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের মাঠ বালিয়া গ্রামের মৃত্যু বারেক ভূইয়ার ছেলে।

নগরকান্দা সদর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে মানুষের কান পরিস্কার করা তার পেশা। স্ত্রী, ৩ ছেলে ৪ মেয়ে নিয়ে সংসার তার। প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে কান পরিস্কার করে যে টাকা রোজগার করেন তা দিয়েই চলে তার সংসার। সংসারে অভাব অনটনে লেখাপড়া তেমন করতে পারেনি সৈয়দ আলী। ১৫ বছর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে গ্রামে ঘুরে ঘুরে চুড়ী ফিতা বিক্রি শুরু করেন। এক পর্যায়ে রংপুর জেলায় গিয়ে অবস্থান নেয়।

১৯৭৯ সালে সেখানে আব্দুল মজিদ মিয়া নামে এক কলেজ শিক্ষকের নিকট থেকে শিখে নেন এই পেশা। সেখানে ঐ ব্যক্তির নিকট ৩ বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন মানুষের কান পরিস্কার করা। সেই থেকে এ পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দ আলী। ১৮/২০ বছর হলো নিজ এলাকায় এসে একই পেশা শুরু করেন।

নগরকান্দা সদর বাজারে কথা হয় সৈয়দ আলী ভূইয়ার সাথে। তিনি জানান, এ পেশা চালিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চার শত টাকা রোজগার করেন। জমি-জমার মধ্যে আছে বাবার ভাগের আড়াই শতক বাড়ীর জমি। সেখানেই ছোট্ট একটি দোচালা ঘর তুলে বসবাস করছেন। চার মেয়েই বিয়ে হওয়ায় তারা স্বামীর সংসার করছে। দুই ছেলে বিয়ে করে তাদের সংসার শুরু করেছেন। কিন্তু কোন বসত ঘর না থাকায় একটি ছোট ভাঙ্গা ঘরে সবাই মিলে বসবাস করছে। ছোট্ট ছেলে বিপ্লব ভূইয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে লেখা পড়া করছে।

সৈয়দ আলী বলেন, বছর দশেক হলো হার্টের সমস্যায় ভূগছি। প্রতিদিন ৫৫ টাকার ওষুধ খেতে হয়। প্রতিদিন যা ইনকাম হয় তা দিয়ে সংসার চালিয়ে নিজের ওষুধ কিনতে হিমসিমে পড়তে হয়।


প্রিন্ট