ঢাকা , বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মারা গেছে কুষ্টিয়ার সেই ৫ শিশুর মধ্যে ছেলে শিশু

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। তাদের মধ্যে বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে স্ক্যানো ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

প্রথমবারের মতো পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি সাদিয়া খাতুন (২৪)। গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম হওয়ায় শিশুদের ওজন কম হয়েছে। বর্তমানে মা সুস্থ থাকলেও চার শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, নবজাতকরা প্রথম থেকেই ঝুঁকিতে ছিল। এখনো ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ওজন কম হওয়ার কারণে ছেলে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বাকিদের সুস্থ করে তোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শিশুদের বাবা সোহেল রানা বলেন, আমার ছেলে সন্তানটি মারা গেছে। খুবই কষ্ট লাগছে। আর মেয়ে শিশুরাও ঝুঁকিতে আছে। স্ক্যানো ওয়ার্ডে তাদের অক্সিজেন চলছে। তবে তাদের মা সুস্থ আছে। শিশুর ওজন কম হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসক।

উল্লেখ্য, কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী সাদিয়ার পাঁচ থেকে ছয় মাসের মাথায় হঠাৎ প্রসবব্যথা ওঠে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একসঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম দেন তিনি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মারা গেছে কুষ্টিয়ার সেই ৫ শিশুর মধ্যে ছেলে শিশু

আপডেট টাইম : ০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। তাদের মধ্যে বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে স্ক্যানো ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

প্রথমবারের মতো পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি সাদিয়া খাতুন (২৪)। গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম হওয়ায় শিশুদের ওজন কম হয়েছে। বর্তমানে মা সুস্থ থাকলেও চার শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, নবজাতকরা প্রথম থেকেই ঝুঁকিতে ছিল। এখনো ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ওজন কম হওয়ার কারণে ছেলে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বাকিদের সুস্থ করে তোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শিশুদের বাবা সোহেল রানা বলেন, আমার ছেলে সন্তানটি মারা গেছে। খুবই কষ্ট লাগছে। আর মেয়ে শিশুরাও ঝুঁকিতে আছে। স্ক্যানো ওয়ার্ডে তাদের অক্সিজেন চলছে। তবে তাদের মা সুস্থ আছে। শিশুর ওজন কম হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসক।

উল্লেখ্য, কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী সাদিয়ার পাঁচ থেকে ছয় মাসের মাথায় হঠাৎ প্রসবব্যথা ওঠে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একসঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম দেন তিনি।


প্রিন্ট