মাগুরার শালিখায় মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বড় ছেলার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২২অক্টোবর) উপজেলার শীমাখালী এলাকার মোঃআব্দুর রহিম (৩৫) তার গর্ভধারিনী বৃদ্ধ মা’কেমারধর করে করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। গত দুইদিন ধরে মেয়ের বাড়ীতে অবস্থান করছেন অসহায় ওই বৃদ্ধা মা সহ ছোট্ট ছেলে মোঃফজর আলী(৩০)। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধা মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং বলেন আমার কপালে লেখা ছিলো আল্লাহ তায়ালা বিচার করবে।জানা গেছে, উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের সিমাখালী গ্রামের মৃত মোঃরইচ উদ্দিন ২০০১ সালে মৃত্যুর পর তার স্ত্রী দুই ছেলে ও চার কন্যা সন্তান নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করছিলেন।অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের বড় করে বিবাহ দেন।
গত শুক্রবার কথা কাটাকাটির জেরে মাকে মারধর করে পৃর্বেও একাধিক বার ছেলে রহিম মাকে মারধর করেছেন।ঘর থেকে বের করে দেন বড় ছেলে রহিম।এরপর ছোট ছেলে ফজর আলীকে সঙ্গে নিয়ে একই গ্রামের বোনের বাড়ী আশ্রয় নেন বৃদ্ধা মা বৃদ্ধা মা বলেন, জায়গা-জমি সব লিখে নিয়ে আমাকে মারধর করে আমার সঞ্চয় করা সব অর্থ টাকা পয়সা স্বামীর রেখে যাওয়া এবং ছেলেকে নিজ হাতে গড়ে দেওয়া ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সব সে নিজের করে নিয়ে আমার স্বামীর রেখে যাওয়া ঘর থেকে বের করে দিলো আমাকে। এ দুঃখ কাকে বলি,পেটের ছেলে এভাবে মারবে এবং বের করে দেবে তা মেনে নেয়া যায় না।
বৃদ্ধার ছোট্ট ছেলে ও বড় মেয়ে বলেন, আমার মায়ের কষ্টে খেয়ে না খেয়ে গড়া সম্পত্তি। সব এখন আমাদের বড় ভাই রহিম মাকে ফাঁকি দিয়ে নিজের করে নিয়ে মা বলতে গেলেই মাকে এভাবে মারধর করে মুখের ভাষা খুবই খারাপ।ছোট্ট ছেলে মোঃফজর আলী বলেন আমি ও আমার মা যখন ভাইকে জমি বিক্রয় করার করণ জানতে চাই তখনই বড় ভাই রহিম আমাকে ও আমার মাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।এতে আমার মা নিলা ফোলা জখম হয় এবং মায়ের শরীরে বিভিন্ন জখমের চিহ্ন রয়েছে মাকে চিকিৎসা করার টাকাও আমার কাছে নাই।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন,আমরা ঘটনা শুনে সেখানে গিয়ে দেখেছি। ছেলে হয়ে মাকে মারধর করা ঠিক হয়নি বিষয়টি খুবই দুংখজনক এমন ঘটনা আর যেন না ঘটে এমনটায় আশা আমাদের এ ঘটনায় ছোট্ট ছেলে বাদী হয়ে শালিখা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রিন্ট