উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া রাজাকারদের তালিকায় রয়েছে ওই প্রার্থীর বাবার নামও।
১২ অক্টোবর আওয়ামী লীগ মনোনীত ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বরাবর আবেদন করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ৯ নম্বর পোড়াদহ ইউনিয়নে। সেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছেন শারমিন আক্তার নাসরিন। তার বাবা আব্দুল গফুর মণ্ডল একজন রাজাকার ও পিচ কমিটির সদস্য- এমন অভিযোগ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
পোড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সবেদের লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, শারমিন আক্তারের বাবা আব্দুল গফুর মণ্ডল এলাকার চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাধীনতার পর তিনি কলাবরেটর অ্যাক্টে জেল খেটেছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে শারমিন আক্তার নাসরিন নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট করেছেন। আব্দুল গফুর মণ্ডলের নাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দেওয়া তালিকাতেও রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার ও পিচ কমিটির সদস্যের সন্তান নৌকার প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নজরুল করিম জানান, মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের তৈরি করা তৎকালীন রাজাকারদের যে তালিকা রয়েছে, তাতে ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ক্রমিকের নাম আব্দুল গফুর মণ্ডলের।
আব্দুল গফুর মণ্ডলের মেয়ে শারমিন আক্তার নাসরিন নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক এ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
প্রিন্ট