ক্যামেরা না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ইমরুল কায়েস (২০) নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ঘরের ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ইমরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। ইমরুলের বাবা শহীদুল্লাহ ও মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে ইমরুল ছিলেন দ্বিতীয়।
আরিয়ান নামে তার এক সহপাঠী জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩ টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করেন ইমরুল। এরপরই তিনি গলায় ফাঁস দেন। কয়েকদিন আগে মায়ের কাছে মোটর সাইকেল চেয়েছিলেন তিনি। আবদার অনুযায়ী মোটরসাইকেল কিনেও দিলেছিল তার পরিবার।
নিহতের সহপাঠীরা জানান, সম্প্রতি ইমরুল একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে চেয়েছিলেন। গতরাতে বিষয়টি নিয়ে তার কথাও হয় পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু মধ্য রাতে ক্যামেরা কিনতে যাওয়া যাবে না বলে ইমরুলের মা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। এরপরই তিনি রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেন।
পরে শুক্রবার সকালে রুমের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। অবশ্য এর কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হতাশা এবং আত্মহত্যা নিয়ে পোস্ট করছিলেন ইমরুল। ‘ব্যর্থতা আত্নহত্যার মূল’ উদ্ধৃতি দিয়েও একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
প্রিন্ট