ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চাটমোহরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্রীজ পারাপার

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগসোয়াইল গ্রামে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসূচীর আওতায় আগসোয়াইল-টলটোলিয়াপাড়া রাস্তায় মৃত তাজু মোল্লার বাড়ির সামনে বড়ালের শাখা নদী থেকে বিলকুড়-লিয়া সংযোগ খালের উপর ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯শ ৯২ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফিট দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় এ এলাকার জনগনকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এ সেতু পার হতে হচ্ছে। জিবনের ঝুকি নিয়ে প্রায়শই বাঁশের সাঁকো হয়ে সেতুটি পার হওয়ার বৃদ্ধ- ছোট ছেলে মেয়েরা নিচের খালে পরে গুরুতর আহত হচ্ছে।

আগসোয়াইল গ্রামের আব্দুল গফুর খাঁ’র ছেলে হাসান আলী জানান, গত জানুয়ারী মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় জুলাই মাসে। তার পর দুই পাশ ভরাট না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলে যায়। অথচ এ সেতুর উপর দিয়ে পূর্ব পাড়ের টলটলি পাড়া, পাঁচশোয়াইল, শ্রীধরপুর, ধুলাউড়ি, হরিপুর এবং পশ্চিমপাড়ের পুরান পাড়া, শালমারা, দোলং, রামনগর এলাকার লোকজন চলাচল করে।

গত এক সপ্তাহে আজিজুল ও মনিরা নামের দুই শিশু বাঁশের সাঁকো থেকে নিচের খালে পরে আহত হয়। আমি মানুষের নিকট থেকে বাঁশ চেয়ে এনে এ সাঁকোটি দিয়েছিলাম। বর্তমান এ সেতুর সামনে রাস্তা না থাকায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে প্রায় দশটি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি জানি। আমি জানার পর ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল আটকিয়ে দিয়েছি। কাজ পুরোপুরি শেষ করার পরে বিল দেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ

error: Content is protected !!

চাটমোহরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্রীজ পারাপার

আপডেট টাইম : ০২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা প্রতিনিধিঃ :

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগসোয়াইল গ্রামে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসূচীর আওতায় আগসোয়াইল-টলটোলিয়াপাড়া রাস্তায় মৃত তাজু মোল্লার বাড়ির সামনে বড়ালের শাখা নদী থেকে বিলকুড়-লিয়া সংযোগ খালের উপর ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯শ ৯২ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফিট দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় এ এলাকার জনগনকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এ সেতু পার হতে হচ্ছে। জিবনের ঝুকি নিয়ে প্রায়শই বাঁশের সাঁকো হয়ে সেতুটি পার হওয়ার বৃদ্ধ- ছোট ছেলে মেয়েরা নিচের খালে পরে গুরুতর আহত হচ্ছে।

আগসোয়াইল গ্রামের আব্দুল গফুর খাঁ’র ছেলে হাসান আলী জানান, গত জানুয়ারী মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় জুলাই মাসে। তার পর দুই পাশ ভরাট না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলে যায়। অথচ এ সেতুর উপর দিয়ে পূর্ব পাড়ের টলটলি পাড়া, পাঁচশোয়াইল, শ্রীধরপুর, ধুলাউড়ি, হরিপুর এবং পশ্চিমপাড়ের পুরান পাড়া, শালমারা, দোলং, রামনগর এলাকার লোকজন চলাচল করে।

গত এক সপ্তাহে আজিজুল ও মনিরা নামের দুই শিশু বাঁশের সাঁকো থেকে নিচের খালে পরে আহত হয়। আমি মানুষের নিকট থেকে বাঁশ চেয়ে এনে এ সাঁকোটি দিয়েছিলাম। বর্তমান এ সেতুর সামনে রাস্তা না থাকায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে প্রায় দশটি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি জানি। আমি জানার পর ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল আটকিয়ে দিয়েছি। কাজ পুরোপুরি শেষ করার পরে বিল দেওয়া হবে।


প্রিন্ট