ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের ফুলবাড়ী উপজেলায় মতবিনিময় সভা Logo তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ Logo মাগুরাতে এসএমসি’র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন Logo অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo প্রত্যন্ত গ্রামে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করলেন হাজারো দর্শক Logo বাঘায় উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা Logo ফরিদপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ক্ষেতলালে কাজীপাড়া গ্রাম জুড়ে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার পাখি

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার পৌরসভা এলাকার কাজীপাড়া গ্রাম জুড়ে আশ্রয় নিয়েছে দূর্লভ প্রজাতির আবাসিক পাখি শামুকখৈল, বক, শালিক, মাছরাঙা, রাতচোরা, কোকিলসহ হাজার হাজার পাখি। গ্রামের চতুর্দিকের গাছ ও বাঁশ ঝাড়ে আশ্রয় নেওয়া সেসব পাখি দেখে মনে হয় এযেন পাখিদের অভয়ারণ্য। পাখির কলতানে মুখরিত গ্রামের চারপাশ। দেখলেই এক অপূর্ব ভাললাগা কাজ করে। তাইতো পাখি দেখতে আসে প্রচুর দর্শনার্থী।
এখন হতে ২২-২৩ বছর পূর্বে গ্রামীণ অঞ্চলের গাছেগাছে দেখা যেত হরেক রকমের পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়াল দিত আকাশে। খাদ্যের সন্ধ্যানে বেড়িয়ে পরত মাঠে ও দিন শেষে ফিরত নিজ নীড়ে। কিচিরমিচির শব্দে ভরে যেত পাখিদের বসবাসের এলাকা। আজ নেই চিরচেনা সেই গ্রামীণ দৃশ্য। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী পাখিগুলো আবার গ্রামীণ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে ।
সরোজমিনে গিয়ে সেই প্রাকৃতিক অপূর্ব দৃশ্যের দেখা গেল পৌর সদরের কাজীপাড়া গ্রামে। সেখানে গ্রামের বট, পাইকর, তেতুল, আম, কাঁঠাল, নিম, জাম ও বাঁশ গাছসহ বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নিয়েছে দূর্লভ আবাসিক পাখি শামুকখৈল, বিভিন্ন জাতের বক, চড়ুই, রাতচোরা, কোকিল, মাছরাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গাছের ডালে পাতার নিচে তৈরী করেছে বাসা। পাখির বাসায় ছোট বাচ্চাকে আদর করে খাবার মুখে তুলে দিচ্ছে মা পাখিগুলো।
গ্রামে পাখি দেখতে আসা কয়েকজনের কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন, আমরা এই গ্রামে এসে পাখি দেখে খুবই আনন্দিত। আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর পর গ্রামে একসঙ্গে এতগুলো পাখি দেখতে পেলাম। দেখে মনে হচ্ছে এযেন পাখিদেরই গ্রাম। গ্রামবাসীর পক্ষে জানান, আমরা কোন কিছু চাইনা শুধু চাই ” পাখিদের গ্রাম ‘ হিসেবে পরিচিত এবং সরকারি কতৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, এফ, এম আবু সুফিয়ান বলেন, গ্রামীণ অঞ্চলে পাখিদের অবাধ বিচরণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। তাই পাখি শিকার না করে পাখিদের নিরাপদে বসবাসের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

error: Content is protected !!

ক্ষেতলালে কাজীপাড়া গ্রাম জুড়ে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার পাখি

আপডেট টাইম : ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ :
জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার পৌরসভা এলাকার কাজীপাড়া গ্রাম জুড়ে আশ্রয় নিয়েছে দূর্লভ প্রজাতির আবাসিক পাখি শামুকখৈল, বক, শালিক, মাছরাঙা, রাতচোরা, কোকিলসহ হাজার হাজার পাখি। গ্রামের চতুর্দিকের গাছ ও বাঁশ ঝাড়ে আশ্রয় নেওয়া সেসব পাখি দেখে মনে হয় এযেন পাখিদের অভয়ারণ্য। পাখির কলতানে মুখরিত গ্রামের চারপাশ। দেখলেই এক অপূর্ব ভাললাগা কাজ করে। তাইতো পাখি দেখতে আসে প্রচুর দর্শনার্থী।
এখন হতে ২২-২৩ বছর পূর্বে গ্রামীণ অঞ্চলের গাছেগাছে দেখা যেত হরেক রকমের পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়াল দিত আকাশে। খাদ্যের সন্ধ্যানে বেড়িয়ে পরত মাঠে ও দিন শেষে ফিরত নিজ নীড়ে। কিচিরমিচির শব্দে ভরে যেত পাখিদের বসবাসের এলাকা। আজ নেই চিরচেনা সেই গ্রামীণ দৃশ্য। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী পাখিগুলো আবার গ্রামীণ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে ।
সরোজমিনে গিয়ে সেই প্রাকৃতিক অপূর্ব দৃশ্যের দেখা গেল পৌর সদরের কাজীপাড়া গ্রামে। সেখানে গ্রামের বট, পাইকর, তেতুল, আম, কাঁঠাল, নিম, জাম ও বাঁশ গাছসহ বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নিয়েছে দূর্লভ আবাসিক পাখি শামুকখৈল, বিভিন্ন জাতের বক, চড়ুই, রাতচোরা, কোকিল, মাছরাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গাছের ডালে পাতার নিচে তৈরী করেছে বাসা। পাখির বাসায় ছোট বাচ্চাকে আদর করে খাবার মুখে তুলে দিচ্ছে মা পাখিগুলো।
গ্রামে পাখি দেখতে আসা কয়েকজনের কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন, আমরা এই গ্রামে এসে পাখি দেখে খুবই আনন্দিত। আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর পর গ্রামে একসঙ্গে এতগুলো পাখি দেখতে পেলাম। দেখে মনে হচ্ছে এযেন পাখিদেরই গ্রাম। গ্রামবাসীর পক্ষে জানান, আমরা কোন কিছু চাইনা শুধু চাই ” পাখিদের গ্রাম ‘ হিসেবে পরিচিত এবং সরকারি কতৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, এফ, এম আবু সুফিয়ান বলেন, গ্রামীণ অঞ্চলে পাখিদের অবাধ বিচরণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। তাই পাখি শিকার না করে পাখিদের নিরাপদে বসবাসের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে।

প্রিন্ট