গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস (২০২০ইং) এর শেষের দিকে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় বাঘা উপজেলার লক্ষীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ।
২০২১ সালের করনাকালিন সময়ে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ও আরেকটি ১ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ঘর র্নিমান করা হয়। যার মেঝেও ছিল কাঁচা।
এবছরের বন্যায় শ্রেণী কক্ষে পানি প্রবেশ করে। এতে আসবাবপত্রসহ ণির্মানাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) উচুভিটার উপর গাছের নীচে মাদুর বিছিয়ে ক্লাস করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। অন্যদিকে চরের ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারিদিকেই পানি। অনেক শিক্ষার্থীকেই পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান জানান,উপজেলার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তারমধ্যে আমার বিদ্যালয়টি নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। ভাঙনের পর এলো করোনা। তার পর আবার বণ্যা। পানি কমে গেলেও কাদায় পরিপূর্ণ শ্রেণী কক্ষ। তাই দীর্ঘদিন পরে স্কুল খুললেও শ্রেণী কক্ষে ক্লাশ নিতে পারেননি। বাধ্য হয়ে গাছ তলায় ক্লাশ নিতে হয়েছে। তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সখ্যা ১৬৫ জন।
চরের চকরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান(১) জানান, পানি নেমে যাওয়ার পর পলিমাটি সরিয়ে ক্লাশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮২জন।
চর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলার সহকারি শিক্ষা অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিন।
তিনি জানান, ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চৌমাদিয়া ও ফতেপুর পলাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারিদিকেই পানি। তাই কোমলমতি শিশুদের ঝুঁকি না নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে।
লক্ষীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে কাদার কারণে মাদুর বিছিয়ে উঁচু জায়গায় ক্লাশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার আনন্দে উপস্থিতির হার ছিল ৮২%। উপরের স্কুলে উপস্থিতির হার ছিল ৯০%। শিক্ষকসহ অভিভাবকদের আন্তরিকতা ভালো ছিল।
প্রিন্ট