রাজশাহী নগরীতে এক পরিবারকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তিনদিনেও মামলা নেয় নি পুলিশ। মামলা করতে মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে আসার কথা বলে বারবার থানা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে হাত ও মাথায় ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন।
তিনি নগরীর মির্জাপুর এলাকার আবু হানিফের মেয়ে। সংবাদ সম্মেলনে হালিমা বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় আমার মা, ভাই ও মামার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় মতি, বাবু, জুয়েল, চাঁন, সুরুজ, শিশির, চম্পা ও বুলুসহ আরো কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।
এ সময় আমার ওপরও হামলা চালায় তারা। গুরুতর আহত হলেও এলাকার কেউ এগিয়ে আসেনি। থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে তারাও তৎক্ষনাৎ হাজির হয়নি সেখানে। পরে কোনোমতে পালিয়ে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। আমার মাথায় ৮টি সেলাই লেগেছে। এছাড়া আমার মায়ের মাথায় ৫টি, বড় ভাইয়ের মাথায় ৭টি ও হাতে দুইটি এবং মামার মাথায় ৮টি সেলাই লাগে ও তার ডান হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যান্ডেজ করতে হয়।
হালিমার অভিযোগ, তারা কয়েকবার থানায় গেলেও মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলে বারবার ঘুরাচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে রহস্যজনক উত্তর দিয়েছেন আরএমপির মতিহার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন। বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট