রাজশাহী নগরীতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের জামাইয়ের মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের প্রধানকে গ্রেপ্তার করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এলাহী হক ভরসা। তিনি নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন পূর্ব রায়পাড়া এলাকার মো. মইনুদ্দীনের ছেলে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনার রশিদ খানের মেয়ের জামাই।
জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট নগরীর পদ্মার পাড় থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয় এলাহী। ওইদিন তিনি আরএমপির রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর একজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে নিকটস্থ একটি রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। ওইদিনের সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের প্রতিনিধির হাতে এসেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের জামাই এলাহী হক ভরসা বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর চোরকে তারা দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন এবং গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি গিয়ে আটক করেন। পরে নিকটস্থ প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে তাদের হেফাজতে নেন এবং রাতে রাজপাড়া থানায় হস্তান্তর করেন।
এলাহীর অভিযোগ, রাজপাড়া থানার এসআই মকবুল হোসেন টাকার বিনিময়ে প্রধান আসামী শরিফুলকে ছেড়ে দিয়ে বাকিদের আদালতে সোপর্দ করেন। মোটরসাইকেল উদ্ধারেে নেই কোনো অগ্রগতি। আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকে অস্ত্র মামলাও রয়েছে। অবিলম্বে মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাহী।
এ ব্যাপারে আরএমপির রাজপাড়া থানার এসআই মকবুল হোসেন বলেন, শরিফুল নামের কেউ মোটরসাইকেল চুরি করেন নি। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি মূলত মোবাইলের দোকানদার। চোরেরাই তার হাত-পা ভেঙ্গে ফেলেছে। তবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রিন্ট