রাজশাহীর বাগমারায় শামীমা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে নিজ শয়নকক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বাশুড়িসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত শামীমা উপজেলার গুয়াবাড়ি এলাকার একরামুল হকের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একরামুল হকের সঙ্গে প্রায় ছয় বছর আগে শামীমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছর পর তাদের একটি সন্তান হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই শামীমাকে তার স্বামী একরামুল, শ্বাশুড়ি ও ননদসহ অন্যান্যরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। গৃহবধূর মামা রুস্তম আলীর অভিযোগ, তার ভাগনিকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছেন।
সেজন্য তিনি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ জানায়, মামলার পর গৃহবধূর স্বামী একরামুল হক (৩০), শ্বাশুড়িসহ রেশমা বেগম (৫২) ও তার ননদের স্বামী সেলিম হোসেনকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মামলার অপর আসামী ওই গৃহবধূর শ্বশুর পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, গৃহবধূর মামার করা মামলায় ঘটনার রাতেই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট