প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে মসজিদে ইমামতি করার অভিযোগ উঠেছে। ইমামতি না করতে সৈয়দ ইকরাম আলী মুন্সী নামে কথিত ওই ইমামকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের হিরোণ্যকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত হাসমত আলী মুন্সীর ছেলে।
হিরোন্যকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. দেলোয়ার শেখের পক্ষে গোপালগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবি মো. সরোয়ার শিকদার এ নোটিশ দিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, সৈয়দ ইকরাম আলী মুন্সী ধর্মীয় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি। তিনি এলাকার লাঠিয়াল ও প্রভাবশালী হওয়ায় পেশিশক্তির জোরে মসজিদে ইমামতি করছেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত বৈধ ইমাম থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে ইমাম দাবি করছেন। মিলাদ ও দোয়া উপলক্ষে মসজিদে মুসল্লিদের দেয়া হাদিয়া তিনি ভোগ করছেন।
আরও বলা হয়েছে, তিনি মসজিদকে ব্যক্তিগত ঘরের মত ব্যবহার করছেন। মসজিদের বারান্দায় কাঠমিস্ত্রী দিয়ে ফার্নিচার তৈরীর কাজ করান। মসজিদের মটর দিয়ে পানি তুলে নিজের ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছেন। মসজিদের জায়গার গাছপালার ফল-ফলাদি তিনি ভোগ করছেন। এলাকার মুসল্লিরা এসব বিষয় বাঁধা দিলেও, তিনি তা মানছেন না। ১০ দিনে মধ্যে ইমামতি করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বড় ধরণের সংঘাতের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে সৈয়দ ইকরাম আলী মুন্সীর সাথে কথা হলে তিনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করেননি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি মসজিদ কমিটির অনুমতি নিয়ে মাঝে-মধ্যে আজান দেই ও ইমামতি করি। আমার পূর্বপুরুষ থেকে ইমামতি করে আসছি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
প্রিন্ট