উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে গাইবান্ধার সব গুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কিন্তু দুপুরে বেড়ে তা বিপদসীমানা উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এছাড়া তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যুমানা নদী বেষ্টিত ১৬টি ইউনিয়নের ১৫৫টি চরের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। নীচু এলাকার বাড়িঘর হাটু পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার বসতবাড়ির ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী, শনিবার বিকেল ৫টায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপরদিয়ে প্রবাহিত হয়। এই পানি বৃদ্ধি আগামী চার থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।
ফলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বন্যার কারণে সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের পাট, পটল, কাঁচামরিচ ও শাক-সবজির ক্ষেতসহ সদ্য রোপণকৃত আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
প্রিন্ট