ঢাকা , বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালমারীতে সেপ্টিক ট্যাঙ্কি খুঁড়তে গিয়ে বালু চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু Logo স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হামলার অভিযোগ তুলে ৪ বাড়িতে ভাংচুর Logo কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করতে পাববেনাঃ -আব্দুল হান্নান মাসউদ Logo রাঘববোয়ালদের আটক না করে অস্ত্র উদ্ধারের নামে নাটক করেছে প্রশাসনঃ -আবুল কালাম আজাদ Logo লালপুরে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo বাঘায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ Logo বাঘায় ঈদের আনন্দ শোকে পরিনত বিএনপি নেতা কচির পরিবারে Logo কুষ্টিয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ ৫ জন আটক Logo হাতিয়ায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন Logo আজ ৩০শে মার্চ লালপুরের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ দিবস’
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, আজ শনিবার বিকেল ৩ টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এসব এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে । এসব এলাকার মেঠোপথ, কাচা সড়ক তলিয়ে থাকায় যোগাযোগ ব্যাবস্থা কার্যতঃ ভেঙ্গে পড়েছে । পানি বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে নদী। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারসহ সব কটি নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে ।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সমূহে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওটেক্সটাইল ব্যাগ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করলেও তা কার্যতঃ ব্যর্থ হচ্ছে। উলিপুর উপজেলার হাতীয়া ইউনিয়ন ও সুন্দর গন্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বাঁধের রাস্তার ভাংগা অংশ দিয়ে তীব্র বেগে নদীর পানি ঢুকে পড়ায় বাঁধের ভেতর ৪ টি ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ রোপা আমন ক্ষেত পানির নীচে তলিয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর বাজার লাগোয়া বাঁধের ভাংগা অংশ ১০ বছর ধরে রহস্য জনক কারনে বন্ধ না করায় প্রতি বছর বন্যার সময় বাঁধের ভেতর ব্যাপক আকারে ফসলের ক্ষতি হয়।
এদিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, চলতি বন্যায় জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ধরলা পাড়ের কৃষক আব্দুস ছালাম জানান, বন্যার পানিতে পটল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। রোপা আমন ক্ষেত নিশ্চিহ্ন । গ্রামের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের দুর্ভোগ। এমন কথা শোনালেন যাত্রাপুর এলাকার আব্দুল মালেক, কহিনুর বেওয়া,সাজ্জাদ হোসেন, মন্জু মিয়াসহ অনেকে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মন্জুরুল হক জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত ও ৮৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় আশা করছি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধরলা ও তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও আরো দু’দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালমারীতে সেপ্টিক ট্যাঙ্কি খুঁড়তে গিয়ে বালু চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

error: Content is protected !!

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

আপডেট টাইম : ০৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ :
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, আজ শনিবার বিকেল ৩ টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এসব এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে । এসব এলাকার মেঠোপথ, কাচা সড়ক তলিয়ে থাকায় যোগাযোগ ব্যাবস্থা কার্যতঃ ভেঙ্গে পড়েছে । পানি বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে নদী। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারসহ সব কটি নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে ।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সমূহে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওটেক্সটাইল ব্যাগ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করলেও তা কার্যতঃ ব্যর্থ হচ্ছে। উলিপুর উপজেলার হাতীয়া ইউনিয়ন ও সুন্দর গন্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বাঁধের রাস্তার ভাংগা অংশ দিয়ে তীব্র বেগে নদীর পানি ঢুকে পড়ায় বাঁধের ভেতর ৪ টি ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ রোপা আমন ক্ষেত পানির নীচে তলিয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর বাজার লাগোয়া বাঁধের ভাংগা অংশ ১০ বছর ধরে রহস্য জনক কারনে বন্ধ না করায় প্রতি বছর বন্যার সময় বাঁধের ভেতর ব্যাপক আকারে ফসলের ক্ষতি হয়।
এদিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, চলতি বন্যায় জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ধরলা পাড়ের কৃষক আব্দুস ছালাম জানান, বন্যার পানিতে পটল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। রোপা আমন ক্ষেত নিশ্চিহ্ন । গ্রামের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের দুর্ভোগ। এমন কথা শোনালেন যাত্রাপুর এলাকার আব্দুল মালেক, কহিনুর বেওয়া,সাজ্জাদ হোসেন, মন্জু মিয়াসহ অনেকে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মন্জুরুল হক জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত ও ৮৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় আশা করছি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধরলা ও তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও আরো দু’দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

প্রিন্ট